কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বৃহস্পতিবার ব্যাখ্যা করেছেন যে কেন লোকসভার স্পিকারকে শীতকালীন অধিবেশনের বাকি অংশের জন্য সংসদের বেশ কয়েকজন বিরোধী সদস্যকে সাসপেন্ড করতে হল। তিনি সংবাদমাধ্যমকে আরও জানান, ১৪ জন নয়, ১৩ জন সাংসদকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যের দাবিতে হইহট্টগোল করার জন্য লোকসভার স্পিকার ১৪ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করেছিলেন। একজন এমপির বরখাস্ত পরে প্রত্যাহার করা হয়েছে কারণ তিনি হট্টগোলের সময় উপস্থিত ছিলেন না- মন্ত্রী যোগ করেছেন।
যোশি বলেন, সংসদের ভিতরে প্ল্যাকার্ড দেখাবার জন্য সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।
পিটিআই এর খবর অনুযায়ী মন্ত্রী বলেন “নতুন সংসদ ভবন শুরু হবার পর, একটি বিএসি ((Business Advisory Committee) র সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং স্পিকার প্রস্তাব করেছিলেন যে প্ল্যাকার্ডের অনুমতি দেওয়া হবে না, যা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছিল। স্পিকারের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন কারার জন্য ১৩ জন সংসদ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।”
VIDEO | "After moving to the new Parliament building, BAC (Business Advisory Committee) meeting was held and the Speaker proposed that placards will not be allowed, which was unanimously accepted. The decision of the Speaker was violated, following which 13 MPs have been… pic.twitter.com/XxiTsWhqfY
— Press Trust of India (@PTI_News) December 14, 2023
“একজন সাংসদ যিনি এখানে ছিলেন না তাকেও বরখাস্ত করা হয়েছিল। পরে, এটি আমার নজরে আসে যে এটি একটি ভুল পরিচয়ের ঘটনা এবং আমরা এটি (নাম) বাদ দিয়েছি,” তিনি যোগ করেছেন।
লোকসভা প্রথমে কংগ্রেস দলের পাঁচজন সংসদ সদস্য – টিএন প্রথাপন, হিবি ইডেন, ডিন কুরিয়াকোস, জোথি মণি এবং রাম্যা হরিদাস -কে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য সাসপেন্ড করার একটি প্রস্তাব পাস করে।
পরে বিরোধী দলের ৯ জন সংসদ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়। তারা হলেন: বেনি বেহানান, ভি কে শ্রীকান্দন, মোহাম্মদ জাভেদ, পিআর নটরাজন, কানিমোঝি করুণানিধি, কে সুব্রহ্মণ্যম, এস আর পার্থিবন, এস ভেঙ্কটেসন এবং মানিকম ঠাকুর। এনাদের মধ্যে কার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। অন্যদিকে রাজ্যসভায়, টিএমসি সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনকে একই ধরণের অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে ।
তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেছেন: “গতকাল যা ঘটল তার পরে, I-N-D-I-A জোট চেয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে আসবেন এবং একটি বিবৃতি দেবেন এবং তারপরে আলোচনা হোক…সরকার কোনও বিবৃতি দেয়নি…এটি শুধুমাত্র প্রমাণ করে নতুন সংসদে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো নয়।
বুধবার লোকসভার চেম্বারের ভিতরে দুজন যুবক ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং সাংসদদের মধ্যে গিয়ে ধোঁয়ার ক্যানিস্টার নিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। সংসদের বাইরে থেকেও অন্য দুজনকে দিল্লি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল । আজ তাদের কোর্টে প্রডিউস করার পর অভিযুক্তদের ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। একজন অভিযুক্ত এখনও পলাতক। তাকে খুঁজে বের করার জন্য পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।