পাকিস্তানে আরেক সন্ত্রাসবাদীর হত্যার চেষ্টা। লস্কর-ই-তৈয়্যবার সন্ত্রাসবাদী নেতা সাজিদ মীর এখন ভেন্টিলেটরে। কোনো অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি তার খাবারে বিষ মিশিয়েছে। মীর ২০০৮ সালে মুম্বাইতে ২৬/১১ হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী। পাকিস্তানের ডেরা গাজি খানে অবস্থিত কেন্দ্রীয় কারাগারে তাকে বিষ প্রয়োগ করা হয়। এরপর তাকে বাহাওয়ালপুর সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে । পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই তাকে এয়ারলিফট করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে।

এই ঘটনায় কারাগারে খাবার রান্না করা ব্যক্তির ওপর পাকিস্তানের পুলিশ প্রশাসন সন্দেহ করছে এবং তার বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে। সে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে কারাগারের বাবুর্চি হিসেবে নিযুক্ত হয়। এখন পলাতক। সম্প্রতি কালে পাকিস্তানে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির হাতে ডজনখানেক সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এই ‘অজানা’ দের সম্পর্কে এখনও কেউ সুনির্দিষ্ট কিছু জানতে পারছে না।

সাজিদ মীর ২৬/১১ হামলার পরিকল্পনায় বড় ভূমিকা পালন করেছিল। মীর সর্বকালের সর্ববৃহৎ সন্ত্রাসবাদী হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিল। মুম্বাইয়ের ওই হামলায় ভারত ও পশ্চিমী দেশগুলি সহ অসংখ্য দেশের নাগরিকদের সন্ত্রাসবাদীরা হত্যা করেছিল। ঘটনার সময় ১৭৫ জন নিহত হয় (১৮ পুলিশ অফিসার, ১২২ জন বেসামরিক, ২৬ জন বিদেশী, এবং ৯ সন্ত্রাসবাদী ) এবং ২৯১ জন আহত হয়।

আমেরিকার মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় তার নাম রয়েছে । তার বিরুদ্ধে দুটি ইন্টারপোলের নোটিশ জারি ছিল। ভারত তাকে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন [UA(P)A], ১৯৬৭ এর অধীনে সন্ত্রাসবাদী হিসাবে চিহ্নিত করেছে। আমেরিকা তার জন্য ৫ মিলিয়ন ডলার (৪১.৬৮ কোটি টাকা) পুরস্কার রেখেছে। ২০২২ সালের জুন মাসে , সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ সাহায্যের একটি মামলায় পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত তাকে সাজা দেয়। কয়েকদিন আগে তাকে লাহোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে স্থানান্তর করা হয়।

কিছুদিন আগে সাজিদ মীর মারা গেছেন বলে গুজব ছড়ানোর চেষ্টাও করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু, পশ্চিমী দেশগুলি তা মানতে অস্বীকার করে এবং বলে যে পাকিস্তানের এটি প্রমাণ করা উচিত। সম্প্রতি তাকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) একটি প্রস্তাব আনা হলেও চীন ভেটো দিয়ে তার বিরোধিতা করে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *