উত্তর প্রদেশের ফিরোজাবাদের নাম পরিবর্তন করে চন্দ্রনগর করার একটি প্রস্তাব মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অনুমোদন করেছে। ফিরোজাবাদ নগর নিগমের ১২ জনের কার্যনির্বাহী কমিটির ১১ জন সদস্য এই প্রস্তাবে তাদের সমর্থন জানিয়েছে।
“ফিরোজাবাদের নাম পরিবর্তন করে চন্দ্র নগর করার প্রস্তাবে কার্যনির্বাহী কমিটির ১২ জন সদস্য ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন। এগারোজন কর্পোরেটর যার মধ্যে সাতজন বিজেপির, দু’জন সমাজবাদী পার্টি (এসপি) এবং দু’জন নির্দল প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন” মেয়র কামিনী রাঠোর বলেছেন। কথিত আছে, রাজা চন্দ্রসেন এই এলাকায় শাসন করতেন। তাঁর নাম অনুসারে এখনকার নাম ছিল চন্দ্রনগর। মুঘল আমলে সেনাপতি ফিরোজ শাহ চন্দ্রসেনকে পরাজিত করার পর চন্দ্রনগরকে ফিরোজাবাদে পরিণত করে।
যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন সরকার মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের প্রস্তাবটি পাস করলে ফিরোজাবাদ রাজ্যের নতুন নামকরণের তালিকায় যুক্ত হবে। ২০১৮ সালে, রাজ্য সরকার ফৈজাবাদের নাম পরিবর্তন করে অযোধ্যা এবং এক বছর পরে, এলাহাবাদ থেকে প্রয়াগরাজ করে।
গত মাসে, আলিগড়কে হরিগড় করার একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে শহরের নাগরিক কর্পোরেশন দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল এবং পরবর্তীতে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়। রাজ্য সরকার এখনও নাম পরিবর্তনের অনুমোদন দেয়নি।
ফিরোজাবাদের নাম পরিবর্তন নিয়ে দু’বছর আগে জেলা পঞ্চায়েতে একটি বৈঠক হয়। তারপর প্রস্তাবটি পেশ করা হয় এবং জেলা পঞ্চায়েতের কার্যনির্বাহী সদস্যরা তা জেলা পঞ্চায়েতে পাশ করেন। তারপর সেই প্রস্তাব পৌর কর্পোরেশন অফিসে পাঠানো হয়। পৌর কর্পোরেশনের বৈঠকে ফিরোজাবাদের নাম পরিবর্তন করে চন্দ্র নগর করার প্রস্তাবটি পেস করা হয়।
বৈঠকে পৌর কর্পোরেশন প্রস্তাব পাস করেছে। ১২ জনের কার্যনির্বাহী সদস্যদের মধ্যে ১১ জন ফিরোজাবাদের নাম পরিবর্তন করে চন্দ্র নগর করার অনুমোদন দিয়েছেন। এখন এই প্রস্তাব উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং সবুজ সংকেত পাওয়া মাত্রই সেখান থেকে ফিরোজাবাদের নাম পুরোপুরি বদলে হয়ে যাবে চন্দ্রনগর।
ইউপি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তার প্রথম মেয়াদে, ফৈজাবাদ জেলাকে অযোধ্যা, রেলওয়ে স্টেশনকে অযোধ্যা ক্যান্ট এবং এলাহাবাদকে প্রয়াগরাজ হিসাবে পুনঃনামকরণ করেছিলেন। মুঘলসরাই এবং ঝাঁসি রেলওয়ে স্টেশনগুলির নামকরণ করা হয়েছিল যথাক্রমে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় নগর এবং বীরাঙ্গনা লক্ষ্মী বাই।
এর আগে যোগী আদিত্যনাথের শহর গোরখপুরে প্রায় এক ডজন পৌরসভার ওয়ার্ডের নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল হিন্দু নেতা, দ্রষ্টা এবং কবিদের নামে। গেরুয়া শিবির সুলতানপুরকে কুশ ভবনপুর, ময়নপুরীকে মায়া নগর এবং মির্জাপুরকে বিন্ধ্যধাম হিসাবে পুনঃনামকরণ করার দাবি আগেই করেছে। এছাড়াও, আগ্রাকে অগ্রবন এবং মুজাফফরনগরকে লক্ষ্মী নগর হিসাবে পুনঃনামকরণ করারও দাবি আছে।
আদিত্যনাথ, গত বছর আজমগড়ে লোকসভা উপনির্বাচনের আগে জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় জেলার নাম পরিবর্তন করে আরিয়ানগড়’ করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।