পাকিস্তানের কট্টরপন্থী প্রচারক এবং সন্ত্রাসী সংগঠন জইশের সমর্থক মাওলানা শের বাহাদুরকে খাইবার পাখতুনখোয়া, পেশোয়ারে কিছু ‘অজ্ঞাত’ লোকজন খুন করেছে।
Pakistan- Maulana Sher Bahadur, a radical preacher and Jaish supporter has been killed by 'Unknown' today at Khyber Pakhtunkhwa in Peshawar.https://t.co/4IHhdQ3xHx
— Megh Updates 🚨™ (@MeghUpdates) December 3, 2023
জইশ-ই-মহম্মদের আর এক সন্ত্রাসবাদী ইউনুস খানকেও এদিন গুলি করে হত্যা করা হয়। অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে। জঙ্গি ইউনুস খান জইশ-ই-মোহাম্মদের জন্য নিয়োগের কাজ করতো।
লস্কর-ই-তৈয়বার প্রাক্তন কমান্ডার আকরাম খানকেও এর আগে কিছু অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি বাজাউরে গুলি করে হত্যা করে । তাকে আকরাম গাজীও বলা হতো। আকরাম ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত লস্করে নিয়োগের কাজ করেছিল।
সন্ত্রাসীদের হত্যার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। এর আগেও, মুফতি কায়সার ফারুক, খালিস্তানি সন্ত্রাসী পরমজিৎ সিং পাঞ্জওয়াদ, আজাজ আহমেদ আহাঙ্গার, বশির আহমেদ পিয়ার, শহীদ লতিফ এবং সৈয়দ খালিদ রাজার মতো সন্ত্রাসীরা অজানা আততায়ীদের হাতে নিহত হয়েছিল।
মাওলানা শের বাহাদুরের মৃতদেহের একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে, শের বাহাদুরের মৃতদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় পুলিশকে মৃতদেহর পাশে দেখা যায়। তাকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়েছে এবং তৎক্ষণাৎ তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।
মাওলানা মাসুদ আজহারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত আরেক জইশ-ই-মোহাম্মদ সন্ত্রাসী মাওলানা রহিমুল্লাহ তারিককে আগে হত্যা করা হয়েছিল। তারিক ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের মধ্যে একজন।
সন্ত্রাসীবাদী গোষ্ঠীগুলির কথিত সমর্থনের জন্য ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক তদন্তের মুখোমুখি পাকিস্তান, এখন এই হত্যাকাণ্ডগুলি প্রকাশের সাথে সাথে পাকিস্তান অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ-এর মধ্যে পরে গেছে ।
এতজন কথিত সন্ত্রাসবাদী পাকিস্তানে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীর হাতে নিহত হবার ঘটনা এটা প্রমাণ করে যে, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদীদের লালন-পালন করে এবং পাকিস্তানের মাটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে করার জন্য ব্যবহৃত হয়। পাকিস্তান সরকার কিংবা পাকিস্তান সেনার তরফ থেকে এই সন্ত্রাসবাদীদের হত্যার ঘটনার কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।