বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধে ভারতীয় সেনার বলিদানের প্রতীক হিসাবে বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে স্মৃতিসৌধ।

বাংলাদেশের আশুগঞ্জে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী ভারতীয় সৈন্যদের সম্মানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ শেষ হওয়ার  পর্যায়ে রয়েছে। এতে প্রায় ১৬০০ ভারতীয় সেনার নাম লেখা থাকবে। ডিসেম্বরের মধ্যে এটি প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং মার্চ বা এপ্রিলে দুই প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী এটির উদ্বোধন করবেন।

২০২১ সালের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় সৈন্যদের জন্য একটি যুদ্ধ স্মারক এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে আশুগঞ্জে চার একর জায়গা নিয়ে এটি তৈরী করা হচ্ছে। এটির একটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। কারণ যুদ্ধের সময় এই এলাকাটিই ছিল তীব্র যুদ্ধের পটভূমি। এই সৌধে ১৬০০ জন ভারতীয় শহিদের নাম খোদাই করা হয়েছে । সৌধের নকশা দুই দেশের স্থায়ী বন্ধুত্বের একটি মূর্ত প্রতীক। এটির মাধ্যমে বাংলাদেশ ভারতীয় সশস্ত্র সেনা বাহিনীর ৭১এর যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ।

১৯৭১ সালে যুদ্ধের সূচনা হয়েছিল বাংলাদেশে। তৎকালীন দেশটি পূর্ব পাকিস্তান নাম পরিচিত ছিল। শাসকের বিরুদ্ধে গণবিদ্রোহের প্রতিক্রিয়ায় যুদ্ধ শুরু হয় বাংলাদেশে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী অপারেশন সার্চ লাইট শুরু করে। সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান (এখন বাংলাদেশ ) জুড়ে ধর্ষণ ও গণহত্যা শুরু করে পাকিস্তানের সেনা বাহিনী। সেনা বাহিনীর এই একথ্য অত্যাচারে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। ক্রমবর্ধমান হিংসার কারণে ভারত বাংলাদেশের জনগণের সমর্থনে ১৯৭১ সালে ৩ ডিসেম্বর যুদ্ধে সামিল হয়। ১৬ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনা বাহিনীর হাতে পাকিস্তান সেনা বাহিনীর ৯৫ হাজার সেনা আত্মসমর্পণ করে।স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়।

এই দিনটিকে ভারত বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে। যা শুধুমাত্র সৈন্যদের আত্মত্যাগই নয়, এই জয় দুই দেশের কাছে বন্ধুত্বের প্রতীক। যা দুই দেশের ইতিহাসেও গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ সূত্রের খবর এটি আমরণ বন্ধুত্বের থিমের ওপর তৈরি করা হয়েছে। কাঠামোটি দেখতে পাঁজরের মত।এটি মন আর আত্মাকে সুরক্ষিত করার প্রতীক। এটি সাহসী সৈনা বাহিনীর আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত শান্তির প্রতীক।

Exit mobile version