আদিত্য L1 তার নিদিষ্ট গন্তব্যেস্থলে পৌঁছে গেল। এটি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) এর প্রথম সৌর মিশন। আজ বিকেল ৪টার সময় ভারতীয় সৌরযান ‘আদিত্য’ তার চূড়ান্ত কক্ষপথে পৌঁছে গেল।
𝐈𝐧𝐝𝐢𝐚, 𝐈 𝐝𝐢𝐝 𝐢𝐭. 𝐈 𝐡𝐚𝐯𝐞 𝐫𝐞𝐚𝐜𝐡𝐞𝐝 𝐭𝐨 𝐦𝐲 𝐝𝐞𝐬𝐭𝐢𝐧𝐚𝐭𝐢𝐨𝐧!
Aditya-L1 has successfully entered the Halo orbit around the L1 point.#ISRO #AdityaL1Mission #AdityaL1 pic.twitter.com/6gwgz7XZQx
— ISRO InSight (@ISROSight) January 6, 2024
গত সোমবার ইসরো প্রধান এস সোমানাথ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছিলেন “আদিত্য L1, ৬ই জানুয়ারি বিকেল ৪ টায় তার L1 পয়েন্টে পৌঁছতে চলেছে এবং আমরা এটিকে সেখানে প্রতিষ্ঠা করার জন্য চূড়ান্ত পদক্ষেপ করতে যাচ্ছি।”
মিশনের লক্ষ্য ছিল সূর্য-পৃথিবী ল্যাগ্রেঞ্জিয়ান পয়েন্ট (L1) যা পৃথিবী থেকে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার (১৫ লক্ষ কিলোমিটার) দূরে অবস্থিত সেখানে একটি হ্যালো কক্ষপথ থেকে সূর্যের করোনার ও সূর্যের তাপ অনুভব ও পর্যবেক্ষণ করা।
আরও পড়ুন : Aditya-L1: সূর্যের দিকে আরও একধাপ । ১৯শে সেপ্টেম্বর সূর্যের পথে পাড়ি।
ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট হল পৃথিবী এবং সূর্যের মধ্যকার একটি অঞ্চল যেখানে পৃথিবী এবং সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি মোটামুটি শূন্য হয়।
আদিত্য L1 এর সাতটি পেলোড
সাতটি অত্যাধুনিক পেলোড রয়েছে আদিত্য L1 এর মধ্যে। ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক এবং কণা ডিটেক্টর ব্যবহার করে সূর্যের বাইরের স্তরগুলির গতিশীলতা পরীক্ষা করবে আদিত্য । এই যন্ত্রগুলির মধ্যে রয়েছে ভিসিবল আমিশন লাইন কোরোনাগ্রাফ (VELC), সোলার লো এনার্জি এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার (SoLEXS), আদিত্যের জন্য প্লাজমা বিশ্লেষক প্যাকেজ (PAPA), হাই এনার্জি L1 অরবিটিং এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার (HEL1OS), সোলার আল্ট্রাভায়োলেট ইমেজিং টেলিস্কোপ (SUIT) ), আদিত্য সোলার উইন্ড পার্টিকেল এক্সপেরিমেন্ট (ASPEX), এবং অনবোর্ড ম্যাগনেটোমিটার (MAG)।
আদিত্য এর পৃথিবী থেকে এল ওয়ান (L1)পয়েন্ট পর্যন্ত ১৫ লক্ষ কিলোমিটার যাত্রা পথ নিচে ছবির মাধ্যমে বোঝানো হলো
সূর্য
সূর্য, হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম গ্যাসের একটি আগুনের পিন্ড যার আনুমানিক বয়স ৪.৫ বিলিয়ন বছর। এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন-কিমি দূরে এবং সমগ্র সৌরজগতের শক্তির উৎস। সৌর শক্তি ছাড়া, পৃথিবীতে জীবনের অস্তিত্ব থাকতে পারে না। সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ সৌরজগতের সমস্ত বস্তুকে একত্রে ধরে রাখে।
সূর্যের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে, যা ‘কোর’ নামে পরিচিত, তাপমাত্রা ১৫ মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এই তাপমাত্রায়, নিউক্লিয়ার ফিউশন নামক একটি প্রক্রিয়া কেন্দ্রে সঞ্চালিত হয় যা সূর্যকে শক্তি দেয়। ফটোস্ফিয়ার নামে পরিচিত সূর্যের দৃশ্যমান পৃষ্ঠটি তুলনামূলকভাবে শীতল এবং তাপমাত্রা প্রায় ৫৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সূর্যের ছবি
আদিত্য L1 এর পেলোড SUIT সূর্যের অতিবেগুনী তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ছবি গুলি ক্যাপচার করে পাঠিয়েছে। এই গুলি ২০০ থেকে ৪০০ এনএম পর্যন্ত তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সূর্যের প্রথম পূর্ণ-ডিস্ক ছবি।