‘ভারত জোড়ো’ এর পর এবার ‘ভারত ন্যায় যাত্রা’। লোকসভার আগে রাহুল গান্ধীর নতুন পদযাত্রা।

‘ভারত জোড়ো’ এর পর এবার ‘ভারত ন্যায় যাত্রা’। রাহুল গান্ধী ১৪ই জানুয়ারী যাত্রা শুরু করবেন, এবং শেষ হবে ২০শে মার্চ মুম্বাইয়ে।

“২১শে ডিসেম্বর, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে একটি মতামত দেয় যে রাহুল গান্ধীর পূর্ব থেকে পশ্চিমে একটি যাত্রা শুরু করা উচিত। রাহুল গান্ধীও CWC-এর ইচ্ছা পূরণ করতে সম্মত হয়েছেন। সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি ‘ভারত ন্যায় যাত্রা’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৪ই জানুয়ারী মণিপুর থেকে শুরু হয়ে ২০শে মার্চ মুম্বাই-এ শেষ হবে ,” ভেনুগোপাল একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন।

যাত্রার রূপরেখা-

এই ভারত ন্যায় যাত্রায় রাহুল গান্ধী ৬৭ দিনে ৬২০০ কিলোমিটার পদযাত্রা করবেন। ১৪টি রাজ্য এবং ৮৫টি জেলা অতিক্রম করবেন।

১৪ টি রাজ্য হল মণিপুর, নাগাল্যান্ড, আসাম, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্র।

১৪ই জানুয়ারি মণিপুর থেকে এই যাত্রার সূচনা হবে। শুধু পায়ে হেঁটে নয়, এবার ভারত ন্যায় যাত্রায় থাকছে বাস সার্ভিস। আরও বেশি সংখ্যক মানুষ যাতে এবার কংগ্রেসের জনসংযোগ যাত্রায় অংশ নিতে পারেন, তার জন্যই বাসের ব্যবস্থা করা হবে। উল্লেখ্য, ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় মোট ৪ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ ছিল। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত এই পথ ১৫০ দিন যাত্রা করেছিলেন রাহুল। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে রাহুলের নেতৃত্বাধীন সেই যাত্রা চলতি সালের ৩০ জানুয়ারি শ্রীনগরে শেষ হয় ।

এবার রাস্তা অনেক বেশি আর হাতে সময় কম। কারণ সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তাই দৈনিক গড়ে ১০০ কিলোমিটার যাত্রা করতে হবে। তাই বাস সার্ভিস এর ব্যবস্থা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই যাত্রা শুরু হবে জানুয়ারী মাসের মাঝামাঝি সময়ে আর শেষ হবে মার্চের শেষ দিকে। লোকসভা ভোটের দামামা বেজে যাবে ফেব্রুয়ারী থাকে। বিজেপির প্রচার জানুয়ারী থেকেই শুরু। কংগ্রেসের ষ্টার প্রচারক যদি এতটা সময় পদযাত্রাতে কাটিয়ে দেন তাহলে কংগ্রেস নির্বাচনী প্রচারে অনেকটা পিছিয়ে পড়বে।

অনেকে এবার মনে করছেন রাহুল গান্ধীকে নির্বাচনী প্রচার থেকে দূরে রাখার জন্যই পদযাত্রার জন্য এই সময়টাকে বেছে নিয়েছে CWC।

Exit mobile version