শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহী ইদগাহ মসজিদ বিবাদ মামলায় বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) এলাহাবাদ হাইকোর্ট মসজিদ কমপ্লেক্স পরিদর্শনের জন্য একটি কমিশন নিয়োগের আবেদনের অনুমতি দিয়েছে।
হিন্দু আবেদনকারীরা বিশ্বাস করেন যে ১৬৭০ সালে আওরঙ্গজেবের নির্দেশে নির্মিত মসজিদটি মথুরায় ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থানের উপরে নির্মিত হয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্টে বলেছে
১৪ই ডিসেম্বরের রায়ের বিরোধিতা করে মসজিদ কমিটি শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে যায়। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট শাহী ইদগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার অনুমতি দিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের আদেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করতে অস্বীকার করেছে।
#WATCH | On Supreme Court refusing to stay Allahabad High Court’s December 14 order which allowed the primary survey of the Shahi Idgah complex adjacent to the Shri Krishna Janmabhoomi Temple in Uttar Pradesh's Mathura, Vishnu Shankar Jain, the lawyer for the Hindu side says,… pic.twitter.com/rkMNeVMzN3
— ANI (@ANI) December 15, 2023
“সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টের রায় স্থগিত করতে অস্বীকার করেছে এবং ৯ই জানুয়ারী সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টির দিন ধার্য করেছে।হাইকোর্টের আদেশ অব্যাহত থাকবে এবং হাইকোর্ট বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যাবে এবং সুপ্রিম কোর্টের কোন স্থগিতাদেশ নেই, ” জৈন সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন।
পুরনো বিবাদ
আওরঙ্গজেব ১৬৭০ সালে আগের মন্দিরের জায়গায় মসজিদটি তৈরি করেছিল । এলাকাটিকে ‘নাজুল জমি’ (অ-কৃষি জমি) রূপে নথিভূক্ত আছে, এবং এটি মারাঠাদের মালিকানাধীন। পরে এটি ব্রিটিশদের হাতে যায় । মসজিদ নির্মাণের আগে, ওর্ছার রাজা বীর সিং বুন্দেলাও ১৬১৮ সালে একই প্রাঙ্গনে একটি মন্দির নির্মাণ করেছিলেন।
১৮১৫ সালে, বেনারসের রাজা পাটনি মাল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে নিলামে ১৩.৭৭ একর জমি কিনেছিলেন। রাজার বংশধর – রায় কিষাণ দাস এবং রায় আনন্দ দাস – জমিটি জুগল কিশোর বিড়লা কে ১৩,৪০০ টাকায় বিক্রি করেছিলেন এবং এটি পণ্ডিত মদন মোহন মালব্য, গোস্বামী গণেশ দত্ত এবং ভিকেন লালজি আত্রেয়ের নামে নথিভূক্ত হয়।
শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি ট্রাস্ট যুগল কিশোর বিড়লা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, এবং এটি কাটরা কেশব দেব মন্দিরের মালিকানার অধিকারে ছিল । “ট্রাস্টের সম্পত্তি কখনও বিক্রি বা বন্ধক রাখা হবে না।” এই শর্তে ১৯৫১ সালে,এই ১৩.৭৭ একর জমি শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি ট্রাস্টে রাখা হয়েছিল।
১৯৫৬ সালে, মন্দিরের বিষয়গুলি পরিচালনা করার জন্য শ্রী কৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৭ সালে, সোসাইটির নামের ‘সংঘ’ শব্দটি ‘সংস্থান’ দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল।
এ পর্যন্ত মামলা ও আদেশ
মথুরার আদালতে বিভিন্ন আবেদনকারী কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ টি মামলা দায়ের করে। সমস্ত আবেদনের একটি সাধারণ প্রার্থনা হল ১৩.৭৭-একর এলাকা থেকে মসজিদটিকে সরানো। এই বছরের মে মাসে, এলাহাবাদ হাইকোর্ট শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহী ইদগাহ মসজিদ বিবাদের সমস্ত মামলা নিজের কোর্টে নিয়ে আসে।
গত ১৪ই ডিসেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্ট বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার জন্য একটি কমিশন গঠনের নির্দেশ দেন।
মুসলিম পক্ষের পাল্টা দাবি
ইউপি সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড এবং শাহী ইদগাহ মসজিদ কমিটির প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবীরা হাইকোর্টে যুক্তি দিয়েছিলেন যে, “শাহী ইদগাহ মসজিদ কাটরা কেশব দেবের ১৩.৭৭ একর জমির মধ্যে পড়ে না। ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থান মসজিদের নিচে নেই। বাদীদের দাবি অনুমানের উপর ভিত্তি করে করা এবং কোন ডকুমেন্টারি সাক্ষ্য দ্বারা এটি প্রমাণিত হয় না,”