দল বিরোধী কাজের জন্য পদ গেল অনুপমের। কড়া বার্তা নাড্ডার।

ভারতীয় জনতা পার্টি তার পশ্চিমবঙ্গের নেতা অনুপম হাজরাকে অবিলম্বে জাতীয় সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দিল ।

“ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় সভাপতি জে.পি. নাড্ডার নির্দেশ অনুসারে, অনুপম হাজরাকে জাতীয় সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে ” বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সদর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত নেতা অরুণ সিংহ মঙ্গলবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা মঙ্গলবার কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সাথে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দলের কৌশল তৈরি করতে সাংগঠনিক বৈঠক করেছেন । ঠিক সেই দিনেই এলো এই ঘোষণা।

বৈঠকের পরে, অমিত শাহ একটি X বার্তায় বলেছিলেন “আজ পশ্চিমবঙ্গে, সর্বভারতীয় সভাপতি শ্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডা জী-এর সাথে রাজ্য কোর গ্রুপের একটি বৈঠক করে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের রণনীতি নিয়ে আলোচনা করলাম। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মোদী জীর উপর আস্থা আছে এবং এই নির্বাচনে ৩৫ টিরও বেশি পদ্মফুল ফোটাতে তারা প্রস্তুত।”

 

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অনুপমকে দেওয়া নিরাপত্তা তুলে নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর । দীর্ঘ দিন কেন্দ্রের ‘ওয়াই ক্যাটেগরি’-র নিরাপত্তা পেতেন অনুপম। গত ৫ ডিসেম্বর অনুপমকে জানিয়ে সেই নিরাপত্তা তুলে নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

তবে সেই সুস্পষ্ট বার্তার পরেও অনুপম যে দমছেন না সেটা বুঝিয়ে রবিবার ফের ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন তিনি। সেখানে লিখেছিলেন, ‘‘নিজের দলের মধ্যে বছরের পর বছর প্রতিষ্ঠিত চোর এবং দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে রাখলে, আর কয়েকদিন পর তৃণমূলকে চোর বলার জায়গায় থাকব কি আমরা?’’ ওই পোস্টের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দলীয় পদ থেকে সরানো হল তাঁকে।

বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে বিজেপিতে তাঁর মোহোভঙ্গ হয়েছে। তিনি হয়তো অনেক বেশি কিছু আশা করেছিলেন। সেটা না পাওয়ার জন্যই এই মোহোভঙ্গ। তিনি চাইছিলেন তাঁকে দল বহিস্কার করুক তাতে তার অন্য কিছু ভাবতে আর অসুবিধা হবে না। এখন তার পুরানো দল তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।

Exit mobile version