দিল্লি সরকার শহরের উচ্চ বায়ু দূষণ মোকাবেলায় এই মাসে ক্লাউড সিডিংয়ের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টিকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে। কৃত্রিম বৃষ্টি, যা ক্লাউড সিডিং নামেও পরিচিত। এটি একটি আবহাওয়া পরিবর্তনের কৌশল যেখানে বৃষ্টিপাত করানোর জন্য সিলভার আয়োডাইড বা পটাসিয়াম আয়োডাইডের মতো রাসায়নিক পদার্থগুলিকে বিমান বা হেলিকপ্টার মাধ্যমে মেঘের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয় । এই কণাগুলি নিউক্লিয়াস হিসাবে নিজের চারপাশে জলের ফোঁটা তৈরি করে। প্রক্রিয়াটি সম্পর্ণ হতে সাধারণত প্রায় আধা ঘন্টা সময় নেয়। তবে এর সাফল্য নির্ভর করে নির্দিষ্ট আবহাওয়া সংক্রান্ত অবস্থার উপর, যেমন আর্দ্রতা-ভরা মেঘের উপস্থিতি এবং উপযুক্ত বায়ু।

আজ দিল্লির AQI ৬৭০, যা অত্যন্ত “বিপজ্জনক” । সূক্ষ্ম কণা পদার্থ (PM2.5 এবং PM10), নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড (NO2), সালফার ডাই অক্সাইড (SO2) এর মতো দূষিত পদার্থগুলি নিরাপদ সীমার উপরে রয়েছে, যা শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য জটিলতায় কারণ হতে পারে । শিশু, বয়স্ক এবং অসুস্থ ব্যক্তিরা বিশেষভাবে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, দিল্লির দূষিত বাতাসে শ্বাস নেওয়া দিনে প্রায় ১০ টি সিগারেট খাওয়ার সমান ।

পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই ৮ নভেম্বর আইআইটি কানপুরের একটি দলের সাথে দেখা করে শহরে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত বাস্তবায়নের বিষয়ে কথা বলেছেন। বৈঠকের পরে, মিঃ রাই উল্লেখ করেছেন যে ২০-২১শে নভেম্বর আকাশ মেঘলা থাকলে, দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত করানো যেতে পারে । এটি রাজধানীতে বিপজ্জনক এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) এর মোকাবেলায় একটি সঠিক পথ হতে পারে ।

লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনাই কুমার সাক্সেনা X-এ একটি পোস্টে আইআইটি কানপুরের সাথে বৈঠকের বিষয়েও কথা বলেছেন। তিনি বলেন: “CII এবং IIT, কানপুরের একটি প্রতিনিধিদল ক্লাউড সিডিং-এর সম্ভাবনা ও প্রচলিত বায়ু দূষণ কমানোর জন্য রাজধানীতে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত নিয়ে আলোচনা করতে মিলিত হয়েছিল। এই প্রযুক্তি কতটা কার্যকর হবে সে সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে এবং একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব জমা দিতেও বলা হয়েছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *