অপরূপ সুন্দর লাক্ষাদ্বীপ। ঘুরে আসুন একবার। রইলো সম্পূর্ণ তথ্য।

লাক্ষাদ্বীপ হল ভারতের সব থেকে ছোট কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল যার আয়তন ৩২ বর্গকিলোমিটার এবং এটি দশটি জনবসতিপূর্ণ দ্বীপ, ১৭ টি জনবসতিহীন দ্বীপ, চারটি নবগঠিত দ্বীপ এবং ৫ টি নিমজ্জিত প্রাচীর নিয়ে গঠিত।অপরূপ সুন্দর লাক্ষাদ্বীপ। জনবসতিপূর্ণ দ্বীপগুলি হল কাভারত্তি, আগত্তি, আমিনি, কদমত, কিলতান, চেতলাট, বিত্রা, আন্দ্রোট, কালপেনি এবং মিনিকয়। বিত্রা হল সবথেকে ছোট যার জনসংখ্যা মাত্র ২৭১ জন (শুমারি ২০১১)। জনবসতিহীন দ্বীপ বাঙ্গারাম ২০১১ সালের আদমশুমারি সময জনসংখ্যা ছিল ৬১ জন। মিনিকয় ব্যতীত লাক্ষাদ্বীপের সমস্ত দ্বীপে মালায়লাম ভাষায় কথা বলা হয়। মিনিকয়ের বাসিন্দারা মাহল ভাষায় কথা বলে এবং সেখানে দিভেহি লিপি প্রচলিত।

শেষ আদমশুমারি (২০১১) অনুসারে, লাক্ষাদ্বীপের জনসংখ্যা ৬৪৪২৯ জন। জনসংখ্যার ৯৩% এরও বেশি আদিবাসী মুসলিম এবং তাদের অধিকাংশই সুন্নি সম্প্রদায়ের।

কিলতান

বিত্রা

আমিনি

লাক্ষাদ্বীপ মূলত ৩৬টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। তবে সামুদ্রিক ভাঙ্গনের কারণে পারালি ১ দ্বীপ জলে তলিয়ে যাওয়ায় ৩৫টি দ্বীপ অবশিষ্ট রয়েছে।

আরও পড়ুন :  হোটেল বুকিং বাতিল হতেই বেকায়দায় পড়েছে মালদ্বীপ। ভারত কর্তৃক মালদ্বীপকে করা সাহায্যের ৪ টি উদাহরণ।

আরও পড়ুন : ৮ হাজার হোটেল বুকিং ক্যানসেল মালদ্বীপে। ভারতীয়দের অপমান মালদ্বীপের পর্যটনে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে।

লাক্ষাদ্বীপের ইতিহাস

মধ্যযুগীয় সময়কালে, অঞ্চলটি চেরা রাজবংশ , চোল রাজবংশ এবং অবশেষে কান্নুর রাজ্য দ্বারা শাসিত হয়েছিল। সপ্তম শতাব্দীর দিকে মুসলমানদের আগমনের সময় এই অঞ্চলে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়। ক্যাথলিক পর্তুগিজরা ১৪৯৮ সালের দিকে এখানে আসে। ১৫৪৫ সালে তারা ওখান থেকে বিতাড়িত হয় । ১৭৯৯ সালে লাক্ষাদ্বীপের বেশিরভাগ অঞ্চল ব্রিটিশদের হাতে চলে যায় এবং ভারতের স্বাধীনতার পর ১৯৫৬ সালে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষিত হয়।

পেশা ও শিল্প

এখানকার মানুষের প্রধান পেশা মাছ ধরা, নারিকেল চাষ। পর্যটন এখন এখানকার একটি প্রধান শিল্পের রূপ নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরের পর লাক্ষাদ্বীপ এখন পৃথিবীর পর্যটন মানচিত্রে বিশেষ স্থান পেয়েছে। এই সফরের পরে বিভিন্ন ট্যুর অপারেটিং সাইট গুলিতে লাক্ষাদ্বীপের সার্চ রিকোয়েস্ট কয়েক হাজার গুন বেড়ে গেছে। লাক্ষাদ্বীপে পর্যটনের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে টাটা গোষ্ঠী এখানে দুটি বিলাসবহুল হোটেল নির্মাণের কথা জানিয়েছে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা

আগাত্তি দ্বীপের আগাত্তি বিমানবন্দর হল লাক্ষাদ্বীপের একমাত্র বিমানবন্দর। অ্যালায়েন্স এয়ার , একমাত্র রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এয়ারলাইন অগাত্তি থেকে কোচি পর্যন্ত পরিষেবা দেয়। অন্যান্য দ্বীপগুলি পবন হংস হেলিকপ্টার দ্বারা সংযুক্ত আছে।

ছয়টি জাহাজ কোচি, কোঝিকোড (কালিকট) এবং লাক্ষাদ্বীপকে সংযুক্ত করে। জাহাজ গুলি হল এমভি কাভারত্তি , এমভি আমিন্দিভি , এমভি মিনিকয় , এমভি আরব সাগর , এমভি লক্ষদ্বীপ সাগর এবং এমভি ভরথ সীমা । এছাড়া দ্বীপগুলির মধ্যে নৌকা/ফেরি পরিষেবা উপলব্ধ আছে।

Exit mobile version