বিজেপি নেতা এলকে আডবাণীকে ভারতরত্ন দেওয়া হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই তথ্য দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এখন পর্যন্ত ৪৮ জন ব্যক্তিত্বকে ভারতরত্ন দেওয়া হয়েছে। আডবাণীর আগে ২৩শে জানুয়ারী, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কার্পুরী ঠাকুরকে ভারতরত্ন (মরণোত্তর) দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
I am very happy to share that Shri LK Advani Ji will be conferred the Bharat Ratna. I also spoke to him and congratulated him on being conferred this honour. One of the most respected statesmen of our times, his contribution to the development of India is monumental. His is a… pic.twitter.com/Ya78qjJbPK
— Narendra Modi (@narendramodi) February 3, 2024
আডবাণীর সঙ্গে দুটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ শেয়ার করে অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদি।
তিনি লিখেছেন-
“আমি এটা জানাতে পেরে খুবই আনন্দিত যে শ্রী এল কে আডবাণী জিকে ভারতরত্ন প্রদান করা হবে। আমি তার সাথেও কথা বলেছি এবং তাকে এই সম্মানে ভূষিত করার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছি। আমাদের সময়ের সবচেয়ে সম্মানিত রাষ্ট্রনায়কদের একজন, ভারতের উন্নয়নে তাঁর অবদান স্মরণীয়। জীবনের শুরুতে তৃণমূল স্তরে কাজ করে উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের সেবা করেছেন। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইএন্ডবি মন্ত্রী হিসাবেও নিজেকে সকালের থেকে আলাদা প্রমান করেছেন। তার সংসদীয় জীবন সবসময়ই অনুকরণীয়।
“তাঁকে ভারতরত্ন প্রদান করা আমার জন্য একটি অত্যন্ত আবেগপূর্ণ মুহূর্ত। আমি সর্বদা নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করব যে আমি তাঁর সাথে পরামর্শ করার এবং তাঁর কাছ থেকে শেখার অগণিত সুযোগ পেয়েছি,” তিনি যোগ করেছেন।
আডবাণী ২০১৫ সালে পদ্মবিভূষণে ভূষিত হন
২০১৫ সালে আডবাণী দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মবিভূষণে ভূষিত হন। একই বছর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে ভারতরত্ন দেওয়া হয়েছিল।
বাজপেয়ীর বয়স তখন ৯০ বছর এবং তিনি অসুস্থ ছিলেন। প্রটোকলের বাইরে গিয়ে প্রণব মুখার্জি কৃষ্ণ মেনন মার্গে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যান এবং তাঁকে ভারতরত্ন প্রদান করেন। বাজপেয়ী ছাড়াও ঐ বছর মহামনা মদনমোহন মালব্যকে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে, প্রণব মুখোপাধ্যায়কেও ভারতরত্ন দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছিল।
আডবাণী অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাজ করেছেন, পাশাপাশি বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলেছেন । তিনি ১৯৭০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সংসদের উভয় কক্ষের সদস্য ছিলেন।
১৯৯০ সালের ২৫ শে সেপ্টেম্বর ৬৩ বছর বয়সে, লাল কৃষ্ণ আডবাণী রাম মন্দির আন্দোলনের জন্য গুজরাটের সোমনাথ থেকে অযোধ্যা রথযাত্রা শুরু করেন। এই যাত্রার সম্পূর্ণ দায়িত্ব বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে প্রয়াত বিজেপি নেতা প্রমোদ মহাজন গ্রহণ করেছিলেন।
আডবাণীর এই রথযাত্রার অলৌকিক ফলাফল হিসাবে যে বিজেপি ১৯৮৪ সালে দুটি আসন জিতেছিল, ১৯৯১ সালে ১২০ টি আসনে পৌঁছে যায় । এই রথযাত্রার পর আডবাণী সারা দেশে একজন হিন্দু নেতা হিসেবে পরিচিতি পান ও মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, বিহারের মতো রাজ্যে বিজেপির মাটি শক্ত হয়ে যায়।