বাংলার শেষ প্রার্থী ঘোষণা করলো বিজেপি। প্রথম দফার নির্বাচনের ২ দিন আগেই হাইভোল্টেজ ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষিত হল । এই কেন্দ্রে অভিষেকের প্রতিপক্ষ হচ্ছেন অভিজিৎ দাস ওরফে ববি।

প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে ডায়মন্ড হারবার নিয়ে সমালোচিত হচ্ছিলো বিজেপি। আজ তার পরিসমাপ্তি। দীর্ঘদিন আরএসএস এর সাথে যুক্ত অভিজিৎ। ২০১৪ সালে বিজেপির হয়ে ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থী ছিল অভিজিৎ। সেবার সে অভিষেকের কাছে পরাজিত হয়। ২০১৯ সালে তাকে আর প্রার্থী করেনি বিজেপি।

বিজেপির অন্দরে ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থী নিয়ে দুটি মত ছিল। প্রথম মতে অনেকের বক্তব্য ছিল যেহেতু এই কেন্দ্রের টিএমসির সেকেন্ড কামন্ড প্রার্থী তাই বিজেপির তরফ থেকে বাইরে থেকে এমন একজন হেভিওয়েট কে নিয়ে আসা হোক যে ধরে ও ভরে অভিষেককে টেক্কা দিতে পারে।

অন্য আর একটি মতে বলা হচ্ছিলো ভূমিপুত্র এমন একজন কে প্রার্থী করা হোক যে মাটির সঙ্গে যুক্ত। যে ডায়মন্ড হারবারের মাটিকে চেনে, যে বুথে থেকে লড়াই টা দিতে পারবে।

আরও পড়ুন : ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। দেখে নিন পশ্চিমবঙ্গে আসন ভিত্তিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকা।

দীর্ঘদিন ধরে চলছে সিদ্ধান্ত নেবার পালা। অবশেষে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি দ্বিতীয় মতকে গুরুত্ব দেয়। অভিজিৎ কে বেছে নেবার পিছনে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও আরএসএস এর প্রভাব রয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।

আরএসএস এর সাথে বিজেপির একাধিক শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত তিনি। রেল থেকে শুরু করে একাধিক শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এই অভিজিৎ দাসের। সেই সুবাদে বিজেপির এই নেতার যোগাযোগ সমাজের তৃণমূল স্তরে রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেকারণেই অভিজিৎ দাস ওরফে ববিতেই আস্থা রেখেছে গেরুয়া শিবির।

তবে অভিজিৎ দাসের নাম ঘোষণার পরই তৃণমূলের মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, “অভিজিৎ দাস খায় না মাথায় দেয়। বাংলায় একটা সমীক্ষা করে দেখুন তো বাংলার কতজন তাঁকে চেনেন।” যদিও বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “অভিজিৎ দাস ববি আমাদের বহুদিনের সংগঠক। ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন সংগ্রাম করে, লড়ে চলেছেন তিনি। এমন ভাবার কোনও কারণ নেই আমরা কমজোরি প্রার্থী বা কম ওজনের প্রার্থী দিয়েছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *