ব্রাজিল মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পরাজয়ের সম্মুখীন হলো।৬৩ মিনিটে আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার নিকোলাস ওটামেন্ডির দুর্দান্ত হেডার মেসি দের ঐতিহাসিক তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করে দেয়। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ব্রাজিল বাছাইপর্বে টানা তিন টি ম্যাচ পরাজিত হল।
রিও ডি জেনিরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর আগে জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন স্টেডিয়ামের এক প্রান্তে একসাথে বসে থাকা দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে মারামারি শুরু হওয়ার পর। ব্রাজিলিয়ান পুলিশ হিংসা বন্ধ করতে এগিয়ে আসে কিন্তু আর্জেন্টিনার সমর্থকদের সাথে পুলিশের কঠোর আচরণ দেখে লিওনেল মেসি এবং আর্জেন্টিনা দলের বাকি সদস্যরাও সেদিকে ছুটে যায়।
ছবিতে স্ট্যান্ডে কান্নারত বাচ্চাদের দেখা যাচ্ছিলো। একজন মহিলা তার কোলে একটি শিশুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল সেখানেও পুলিশ লাঠি চালায় বলে অভিযোগ।
আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমি মার্টিনেজ স্ট্যান্ডের উপরে উঠে একজন পুলিশ অফিসারের হাত ধরে আর্জেন্টিনার একজন ভক্তের উপর ব্যাটন ব্যবহার করতে বাধা দেন। ব্রাজিল পুলিশের হাতে অনেক আর্জেন্টিনার সমর্থক মার খেয়েছে। ছবিতে অনেককে রক্তাক্ত হতে দেখা যায়।
তারপরে মেসি দলকে নিয়ে চেঞ্জিং রুমে ফিরে যান যেখানে তারা ১০ মিনিট ছিলেন। ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ৩০ মিনিট দেরিতে শুরু হয়।
খেলার দ্বিতীয়ার্ধে ৬৩ মিনিটের মাথায় নিকোলাস ওটামেন্ডির হেডে আর্জেন্টিনার একমাত্র গোলটি আসে। এই জয়ের সুবাদে আর্জেন্টিনা ছটি ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট করে গ্রুপে প্রথম স্থানে রয়েছে। অন্যদিকে ব্রাজিল ছ’টি ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।
ম্যাচ শেষে গ্যালারির সংঘর্ষ নিয়ে মেসি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘নিশ্চিতভাবেই খুব খারাপ কাজ হল। দর্শকদের ব্রাজিল পুলিশ কিভাবে পিটিয়েছে, সেটা আমরা দেখেছি। লিবার্তোদোরেসের (লাতিন আমেরিকার মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট) ফাইনালেও এমন হয়েছিল, এখন আবারও পেটানো হল। সেইসময় গ্যালারিতে আমাদের ফুটবলারদের পরিবারও ছিল। এটা মনে রাখা উচিত, সকলের আগে পরিবার। যখন তারা আক্রান্ত হয়, সেইসময় খেলার বাকি সবকিছু গুরুত্বহীন পড়ে।’’