দেশে আবার প্রভাব বাড়াতে শুরু করেছে করোনা। করোনার এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবাহ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে তারা। এদিকে ভারতে কোভিড ১৯- এর নতুন রূপ এসে হাজির।
কোভিড-১৯ এর নতুন রূপ কি?
কোভিড-১৯ ভাইরাসের নতুন রূপ জেএন.১ ( JN.1)। জেএন.১ (BA.2.86.1.1) রূপটি এই বছরের শেষের দিকেই আবির্ভূত হয়েছে এবং এটি করোনা ভাইরাসের BA.2.86 বংশের (পিরোলা) বংশধর। নতুন জেএন.১ স্ট্রেনের বিষয়ে, স্বাস্থ্য মন্ত্রক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে যে কোভিড-এর এই রূপটির বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে কিন্তু এখনই উদ্বেগের কোনো কারণ নেই । “জেএন.১-এর কারণে ভারতে কোনও মামলার বীভৎসতা দেখা যায়নি। সমস্ত ক্ষেত্রেই হালকা উপসর্গ পাওয়া গেছে এবং যাদের উপসর্গ ছিল তাদের সকলেই কোনো জটিলতা ছাড়াই সুস্থ হয়েছেন।”
নতুন রূপের লক্ষণ
করোনা সংক্রমণের যে লক্ষণগুলি দেখা যায়, অর্থাৎ, ক্লান্তি, মাথাব্যথা, কাশি, জ্বর, জেএন.১-এর সংক্রমণেও মোটামুটি একই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে ।
কতটা সংক্রামক এই জেএন.১
আমেরিকার ‘ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)’ জানিয়েছে, ওমিক্রন এবং ওমিক্রনের বংশধর জেএন.১ রূপ দু’টি প্রায় একই । ওমিক্রনের স্পাইক প্রোটিনের সঙ্গে সামান্য পার্থক্য ছাড়া আর বিশেষ কোনও তফাৎ নেই কোভিডের দুই উপরূপে। তাই এটিও এক শরীর থেকে অন্য শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
হু-র দাবি, করোনার এই রূপে সংক্রমণের ফলে মৃত্যুর আশঙ্কা প্রায় নেই বললেই চলে। তা ছাড়া এই রূপটি আগের রূপের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর নয় বলেও দাবি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।
জেএন.১ -এ কি কাজ করবে করোনা টিকা ?
বিজ্ঞানীদের মত, জেএন.১-কে দুর্বল করতে সক্ষম করোনার টিকা। করোনার নয়া রূপ ঠেকাতে টিকা কার্যকর হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কোভিডের বুস্টার টিকা ওমিক্রন-এর ভেরিয়েন্টকে পরাস্ত করতে তৈরি করা হয়েছিল। প্রাথমিক গবেষণা অনুযায়ী, সেই টিকা মানুষের শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি করে, তা জেএন.১-কে ঠেকাতে সক্ষম হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার বুস্টার টিকা হয়তো সংক্রমণকে পুরোপুরি আটকাতে পারবে না তবে প্রাণহানির সম্ভাবনা অনেকটাই কমিয়ে দেবে।
বুধবার, নীতি (NITI) আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ডাঃ ভি কে পল বলেছেন, ভারত এ পর্যন্ত কোভিড -১৯ সাব-ভেরিয়েন্ট জেএন.১-এর ২১ টি কেস নথিভূক্ত হয়েছে । কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, কেরালা, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড এবং কর্ণাটকে কোভিডের এই রূপের বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সেক্রেটারি সুধাংশ পান্ত বলেছেন, ভারতে সক্রিয় কোভিড কেস, পৃথিবীর পরিস্থিতির তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম হলেও, গত দুই সপ্তাহে সক্রিয় মামলার সংখ্যা (৬ই ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে ২০শে ডিসেম্বর) ৬১৪-তে পৌঁছেছে । যেটা সাধারণের তুলনায় বেশি।