উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ওপরে থাকা গভীর নিম্নচাপ গত পাঁচ-ছয় ঘন্টা ধরে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে ঘন্টায় ২০ কিমি বেগে। শুক্রবার সন্ধের মধ্যে এটি একটি সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা হয়েছে ‘মিধিলি’। নামকরণ করেছে মলদ্বীপ।
ঘণ্টায় ৮০ কিমি বেগে স্থলভাগের দিকে এই ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসার সম্ভাবনা। ইতিমধ্যে জারি করা হয়ছে সতর্কতাও। এর প্রভাবে উপকূলের দুই জেলায় ভারী বৃষ্টি এবং বাকি কয়েকটি জেলায় হাল্কা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর ।
আজ শুক্রবার ভোরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির অবস্থান ছিল ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ১৯০ কিমি পূর্বে, পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ২২০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে। আবহাওয়া দফতরের অনুমান এই ঘূর্ণিঝড় আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে এবং ১৭ নভেম্বর রাতে কিংবা ১৮ নভেম্বর ভোরে তা ঘন্টায় ৬০-৭০ কিমি বেগে বাংলাদেশের খেপুপাড়ার খুব কাছ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে।
দুর্যোগের আশঙ্কায় মৎস্যজীবীদের শনিবার পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সাগর, পাথর, নামখানা, কাকদ্বীপ-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে মৎস্যজীবীদের ট্রলার বন্দরে ফিরতে শুরু করেছে।
আজ অর্থাৎ ১৭ নভেম্বর উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর এবং নদিয়া জেলায় হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। পূর্ব বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদের দু-একটি জায়গাতেও বৃষ্টি হতে পারে। তবে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া এই সময় শুকনো থাকবে বলে জানিয়েছে হওয়া অফিস ।