গত ১৩ই ডিসেম্বর বর্ধমান স্টেশনের দু’নম্বর ও তিন নাম্বার প্লাটফর্মের মাঝখানে থাকা জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় কাল রাত পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। আজ সকালে আরো এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এই নিয়ে বর্ধমান স্টেশনের ট্যাঙ্ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো চার।
বর্ধমান স্টেশনে দুর্ঘটনার পরে সকল আহতদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডাক্তাররা এক কিশোর সহ তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করে। তাঁরা হলেন কান্তিকুমার বাহাদুর (১৭), মফিজা খাতুন (৩৫) এবং সোনারাম টুডু (২৭)। দুর্ঘটনায় মৃত চতুর্থ ব্যক্তি সুধীর সূত্রধর বর্তমান মেডিকেল কলেজের আইসিইউ তে ভর্তি ছিলেন। ৬৯ বছরের সুধীর বাবু মেমারির কলেজ পাড়ার বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। আজ সকালে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন : বর্ধমান স্টেশনে বড় দুর্ঘটনা। জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে মৃত ৩, জখম ২৭।
১৫ তারিখ সন্ধ্যায় বর্ধমান স্টেশনের ঘটনাস্থল ও আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। মৃত মফিজা খাতুনের মেয়ের চিকিৎসা ও ভবিষ্যতের জন্য মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে রাজভবনের তরফ থেকে সাহায্য করা হবে বলে জানান তিনি। তার আগেই হাসপাতালে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাঝি, পুলিশ সুপার আমনদীপ মৃতদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্য করেন।
বর্ধমান স্টেশনের আট নাম্বার প্ল্যাটফর্মের পাশে ৮৮ বছরের পুরনো আরেকটি লোহার চাদরের জলের ট্যাঙ্ক রয়েছে। ট্যাঙ্কের জলধারণ ক্ষমতা ৫৬,৮০০ গ্যালন। এক-চতুর্থাংশ জল থাকে। ওই ট্যাংকের নিচে অস্থায়ী রূপে বসবাস করে কিছু পরিবার। তাদের দাবি সাদা কাগজে লেখা একটি বিজ্ঞপ্তি তাদের ঘরের দেয়ালে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে সত্তর সেখান থেকে উঠে যাবার জন্য তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্ধমান স্টেশনের মধ্যের ট্যাঙ্কটি দুর্ঘটনা গ্রস্থ হওয়ার পর এই ট্যাঙ্কটির সম্বন্ধেও খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে রেল।