রাহুলের লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে নাকি ওয়ানাডে বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে, সিদ্ধান্ত নিক কংগ্রেস : পিনারাই বিজয়ন

কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন কংগ্রেসকে বলেছেন যে তারা আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনে ওয়ানাড থেকে রাহুল গান্ধীকে প্রার্থী করার সময় এটা ঠিক করুক যে রাহুল বিজেপির বিরুদ্ধে না এলডিএফ-এর বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

“কেরালায় রাহুল যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তবে সেটা বিজেপির বিরুদ্ধে রাহুলের লড়াই কিভাবে হলো। এটা কোনো ভাবেই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে না। কংগ্রেসের এটা নিয়ে ভাবা উচিত। কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত যে রাহুল বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই না করে কেরালায় বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন কিনা। বামফ্রন্ট বিরোধী  I-N-D-I-A  জোটের অংশ যা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য গঠিত হয়েছিল,” বিজয়ন সাংবাদিকদের বলেছিলেন।

বিজয়ন বলেন, রাহুল ওয়ানাড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে বামফ্রন্ট তার বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবে।

বিজয়নের খোলামেলা মন্তব্য সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক এমভি গোবিন্দন এবং সিপিআই জাতীয় সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা রাহুলকে ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে ওয়ানাড এর বদলে কর্ণাটকের মতো রাজ্য থেকে লড়াই করতে বলেছিলেন, যেখানে বিজেপি প্রধান প্রতিপক্ষ।

কেরালায় তার সাম্প্রতিক সফরের সময়, রাহুল গান্ধী বলেছিলেন যে ওয়েনাড লোকসভা কেন্দ্রটি তার কাছে বাড়ির মতো মনে হয়। আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনে ওয়েনাড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন রাহুল।

“আমি এটাকে আমার পরিবারে ফিরে আসা এবং আমার বন্ধুদের সাথে দেখা করার মতো মনে করি। আমি যত বেশি কেরালা এবং ওয়ানাডে আসি, ততই আমি অনুভব করি যে এটি আমার বাড়ি,” রাহুল গান্ধী বলেছিলেন।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ২৪এর লোকসভা নির্বাচনে ওয়ানাড লোকসভা কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এমন ইচ্ছা প্রকাশের প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের এই বক্তব্য বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধী দুটি কেন্দ্র থেকে লড়েছিলেন। একটি উত্তরপ্রদেশের আমেঠি ও দ্বিতীয়টি কেরালার ওয়ানাড। রাহুল গান্ধী ২০০৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময়ের জন্য আমেঠি থেকে সাংসদ ছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধী বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানির কাছে ৫৫১২০ ভোটে হেরে যান।

উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালে কংগ্রেসের টিকিটে সঞ্জয় গান্ধী আমেঠি থেকে জয়ী হন। সেই বছরের শেষের দিকে তিনি একটি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান, ১৯৮১ সালের উপনির্বাচনে সঞ্জয় গান্ধীর ভাই রাজীব গান্ধী জয়লাভ করেন । রাজীব গান্ধী ১৯৯১ সাল পর্যন্ত এই নির্বাচনী এলাকা থেকে জয়লাভ করতে থাকেন। তিনি লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলাম (LTTE) দ্বারা বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন। ১৯৯৯ সালে রাজীব গান্ধীর স্ত্রী সোনিয়া গান্ধী জয়ী হন। ২০০৪ সালে এখন থেকে রাহুল গান্ধী জয়ী হন।

Exit mobile version