আমেদাবাদে ভারত পাকিস্তান ম্যাচের সময় নার্সিংহোমগুলিতে বেডের চাহিদা তুঙ্গে। কারন জানলে চমকে উঠবেন।

বিশ্বকাপের মেগা ম্যাচে শনিবার বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মোতেরার নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান।
টিকিটের হাহাকারের সাথে চলছে কালোবাজারিও। তারই মধ্যে আমেদাবাদের হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিতে বেড বুকিংয়ের হিড়িক পরে গেছে। ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে নার্সিংহোম বা হাসপাতালে বেড বুকিং এই প্রথম।

ভারত-পাক ম্যাচ উপলক্ষে আমেদাবাদে হোটেলের দর বাড়ছে প্রতিদিন । বেশি টাকায় দিতে রাজি হলেও ঘর খালি নেই। এই অবস্থায় ক্রিকেট ফ্যানেরা রাত কোথায় কাটাবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছে। বিপদই নতুন চিন্তার জন্ম দেয়। আর নতুন চিন্তা থেকেই ক্রিকেট ফ্যানেরা বার করে নিয়েছে একটি রাস্তা। রাস্তাটি হল রাত্রিটুকু থাকার জন্য হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমকে ব্যবহার করা।

হোটেলের ভাড়া কোথাও ১০ গুন আবার কোথাও ২০ গুণ বেড়েছে । এই পরিস্থিতিতে নিরাপদ আশ্রয় হাসপাতাল বা নার্সিংহোম। সে কারণে শারীরিক চেক-আপ করানোর ছুতোয় হাসপাতালে রাত কাটানোর ফন্দি এঁটেছে অনেকেরই। যাতে অন্তত ম্যাচের আগের দিন হাসপাতালে ঢুকে পড়ে রাতটুকু কাটিয়ে ম্যাচের দিন বেরিয়ে পড়া যেতে পারে।

নার্সিংহোমগুলিতে ফুল বডি চেকআপের জন্য খোঁজখবর নেওয়া চলছে। যিনি ফুল বডি চেকআপ করাবেন, তাঁর সঙ্গে একজন থাকতেও পারেন। অর্থাৎ কেবিন বুক করলে একজনকে সঙ্গী হিসেবেও রাখতে পারবেন। এই কারণেই হোটেলে থাকার বদলে হাসপাতালে থাকা বেশি সুবিধাজনক বলে মনে করছেন ফ্যানরা।

অনেক হাসপাতাল বা নার্সিংহোমের মালিকেরা নতুন নতুন হেলথ প্যাকেজের জন্য চিন্তাভাবনা করছেন। যাতে এই বাজারে কিছুটা ব্যবসা করে নেওয়া যায়। এতে নার্সিংহোম এবং ক্রিকেট প্রেমী দুজনেরই স্বার্থ অক্ষুন্ন থাকবে।

যদিও হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলির সংগঠন এই ধরনের আর্জিতে সাড়া না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইতিমধ্যেই। বিভিন্ন হাসপাতাল ও নার্সিংহোমকে সেই নির্দেশিকা মেনে চলতে বলা হচ্ছে । সংস্থার সভাপতি ভারত গাধাবির কথায়, হাসপাতাল শুধু রোগীদের জন্যই। বাকিদের জন্য নয়।

Exit mobile version