শচীনের সঙ্গে এক আসনে ধোনি। ধোনির সাত নাম্বার জার্সি ভারতীয় ক্রিকেট থেকে অবসর নিল।

ভারতের কিংবদন্তি অধিনায়ক এমএস ধোনির পরা আইকনিক জার্সি নাম্বার ৭ কে ভারতীয় ক্রিকেট অবসর দিল। শচীন টেন্ডুলকারের পর ধোনি দ্বিতীয় খেলোয়াড় যার জার্সি নাম্বার বিসিসিআই এর তরফ থেকে আর কাউকে দেওয়া হবে না ।

বিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজিব শুক্লা ANI কে বলেছেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমএস ধোনির অবদানের কথা মাথায় রেখে বিসিসিআই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তার জন্য এটি একটি সম্মান। ৭ নাম্বার জার্সিটি এমএস ধোনির একটি পরিচয় ছিল এবং সেই ব্র্যান্ডটিকে সম্মান যেন অক্ষুন্ন থাকে তার জন্য, বিসিসিআইয়ের এই পদক্ষেপটি প্রশংসার যোগ্য।”

ধোনি, ক্রিকেটার হিসাবে একজন আইকনিক ব্যক্তিত্ব। একজন খেলোয়াড় এবং অধিনায়ক হিসাবে ধোনি দুর্দান্ত রেকর্ডের অধিকারী। ভারতীয় দলের অধিনায়ক হিসাবে, তিনি ভারতকে ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১১সালের ওডিআই বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় আইসিসি ট্রফি এনে দিয়েছেন।

ধোনি ভারতের হয়ে ৩৫০ টি ওডিআই ম্যাচে খেলেছেন। ৫০.৫৭ গড়ে ১০৭৭৩ রান সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে ১০ টি সেঞ্চুরি এবং ৭৩ টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে ।

টি-টোয়েন্টিতে, ধোনি ৯৮ ম্যাচে ১৬১৭ রান করেছেন। ১২৬.১৩ স্ট্রাইক রেট ও গড় ৩৭.৬০।

তিনি ৯৭ টি টেস্ট ম্যাচে ৪৮৭৬ রান করেছেন। এর মধ্যে ছয়টি শতক এবং ৩৩টি অর্ধশতক রয়েছে। পাশাপাশি উইকেটরক্ষক হিসাবে মোট ২৯৪ ডিসমিসাল করেছেন।

১০ নাম্বার ছিল শচীন টেন্ডুলকারের জার্সি নম্বর। ভারতীয় ক্রিকেটে মাস্টার ব্লাস্টারের অবদানের জন্য ২০১৭ সালে বিসিসিআই ১০ নাম্বার জার্সিকে তালিকা থেকে সরিয়ে নিয়েছিল।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সংবাদপত্র জানিয়েছে যে বিসিসিআই ইতিমধ্যেই তার তরুণ এবং বর্তমান খেলোয়াড়দের বলেছে যে ৭ নাম্বার জার্সি আর বাছাই করা যাবে না। “তরুণ খেলোয়াড় এবং বর্তমান ভারতীয় দলের খেলোয়াড়দের বলা হয়েছে এমএস ধোনির ৭ নম্বর জার্সি না নিতে। ক্রিকেটে অবদানের জন্য ধোনির টি-শার্ট অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। একজন নতুন খেলোয়াড় ৭ নাম্বার পেতে পারে না, এবং নং ১০ ইতিমধ্যেই উপলব্ধ নম্বরের তালিকার বাইরে ছিল,” বোর্ডের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা সংবাদপত্রকে বলেছেন।

আইসিসি ক্রিকেটারদের তাদের জার্সির পিছনে ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত যেকোনো নাম্বার বাছাই করার অনুমতি দেয়। যখন একজন নতুন খেলোয়ার জাতীয় দলে বাছাই করা হয়, তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে সে তার জার্সির পিছনে কোন নম্বর চায়। যদি নম্বরটি পাওয়া যায় তবে এটি সেই খেলোয়াড়কে দেওয়া হয়। উদাহরণস্বরূপ, এই বছরের শুরুতে, যশস্বী জয়সওয়াল ১৯ নাম্বার নিয়ে ভারতের হয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। যদিও সেই সংখ্যা বর্তমানে দিনেশ কার্তিকের কাছেই রয়েছে। তিনি এখন নিষ্ক্রিয় এবং জাতীয় দলের অংশ নন তবে সংখ্যাটি তখনই পাওয়া যাবে যখন কার্তিক সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন। তাই জাসিওয়াল ১৯ নাম্বার না পেয়ে ৬৪ নাম্বারটি বেছে নেন।

 

Exit mobile version