২৬শে ডিসেম্বর ভারতে ” বীর বাল দিবস” হিসাবে পালন করা হয় । ২০২২ সালে শ্রী গুরু গোবিন্দ সিং জির প্রকাশ পূরব উপলক্ষে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শ্রী গুরু গোবিন্দ সিং-এর পুত্র সাহেবজাদা বাবা জোরওয়ার সিং জি এবং বাবা ফতেহ সিং জি-এর শাহাদাত উপলক্ষে ‘বীর বাল দিবস’ ঘোষণা করেছিলেন।
কিন্তু আপনি কি জানেন “বীর বাল দিবস” কেন পালিত হয় এবং এর তাৎপর্য ও ইতিহাস কী ?
দশম শিখ গুরু গুরু গোবিন্দ সিং জির চার পুত্র। সাহেবজাদা অজিত সিং, সাহেবজাদা জুজহার সিং, সাহেবজাদা জোরওয়ার সিং এবং সাহেবজাদা ফতেহ সিং।
গুরু গোবিন্দ সিং জি মুঘল সেনাবাহিনী দ্বারা আক্রান্ত হন। আনন্দপুর সাহেব দুর্গ ছিল সংঘাতের সূচনাস্থল। যখন যুদ্ধ চলছিল তখন দুই ছেলে তাদের বাবার কাছ থেকে আলাদা হয়ে যায়। সে সময় জোরওয়ার সিং-এর বয়স ছিল মাত্র ৯ বছর এবং ফতেহ সিং-এর বয়স মাত্র ৬ বছর। পিতার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর, তারা আওরঙ্গজেবের দুষ্ট সুবেদার উজির খানের হাতে ধরা পড়ে এবং কারারুদ্ধ হয়।
উজির খান উভয় ছেলেকে ধর্মান্তরিত করে ইসলাম গ্রহণ না করলে প্রাণনাশের হুমকি দেন।উজির খানের কথা শুনে এই দুই বালক বলল, ‘আমরা মরব, কিন্তু ধর্ম ত্যাগ করব না! আমাদের জীবনের থেকে আমাদের ধর্ম আমাদের কাছে প্রিয়। আমাদের পিতামহ গুরু তেগ বাহাদুরজি ধর্মকে অক্ষুন্ন রাখতে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি আমাদের আদর্শ।’
তিন দিন বিচারের পর ২৬শে ডিসেম্বর ১৭০৫ কোনো ভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করাতে অসামর্থ হয়ে সাহেবজাদা জোরওয়ার সিং ও সাহেবজাদা ফতেহ সিং কে দেওয়ালে গেঁথে দেয় উজির খান।
গুরু গোবিন্দ সিং জির বড় দুই ছেলে সাহেবজাদা অজিত সিং এবং সাহেবজাদা জুজহার সিং চমকৌরের যুদ্ধে শহীদ হন ।
সাহেবজাদা জোরওয়ার সিং ও সাহেবজাদা ফতেহ সিং কে স্বরণ করে ২৬শে ডিসেম্বর “বীর বাল দিবস” পালন করা হয়।
https://twitter.com/Sudanshutrivedi/status/1738517031119736857
দেশের ১৫ লাখ স্কুলের ২৬ কোটি ৪৪ লাখ ছাত্র এই দিনটিকে সম্মানের সাথে পালন করবে ও এই মহান আত্মত্যাগ ও বলিদানের গল্প গাঁথায় নিজেদের উদ্বুদ্ধ করবে।
সাত হাজার রেলওয়ে স্টেশন, ১৩৭ টি এয়ারপোর্ট, ৬৭ হাজার পেট্রোল পাম্পে ডিজিটাল বা ফ্লেক্সের মাধ্যমে প্রদর্শনী করা হবে। শুধু দেশে নয় বিদেশে অবস্থিত ১২২ টি ভারতীয় দূতাবাসে ‘বীর বাল দিবস’ এর প্রদর্শনী লাগানো হবে।