এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (ডব্লিউবিএসএসসি) নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন এসএসকেএম হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট-কাম-ভাইস-প্রিন্সিপাল (এমএসভিপি) ডাঃ পীযূষ কুমার রায়কে তলব করেছিল। ইডি-র হেফাজতে থাকা সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের চিকিৎসার জন্য এখনও কত দিন প্রয়োজন তা জানতে চায় ইডি।
বুধবারই হাসপাতালের সুপারকে ইডির দফতরে এসে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ সেই সঙ্গে তাঁকে সুজয়ের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্টও সঙ্গে নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে সুজয় কৃষ্ণ ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ র যে চিকিৎসা চলছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চায়। স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে কালীঘাটের কাকুকে পাঁচ মাসেরও বেশি আগে ইডি গ্রেপ্তার করে ।
এসএসকেএম-এর সুপারের কাছ থেকে ইডি সম্ভবত সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করতে চাইছে। এখনও আরও কতটা চিকিৎসার প্রয়োজন বা এই মুহূর্তে তিনি কেমন আছেন? এগুলোই হয়তো জানতে চাইছে ইডি। সেই কারণেই নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত ‘কালীঘাটের কাকু’র চিকিৎসা সংক্রান্ত বিশদ রিপোর্ট নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের সুপারকে তলব করেছিল ইডি। এসএসকেএম-এর এক সূত্র কাল জানিয়েছিল যে তার চিকিৎসার সমস্ত রেকর্ড ইতিমধ্যেই ই-মেইলের মাধ্যমে ইডি-তে পাঠিয়ে দিয়েছে। এসএসকেএম -এর সুপার তদন্তকারী সংস্থার সামনে শারীরিক অসুস্থতার কারণে উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানা গেছে।
আলিপুরে ইডি-র বিশেষ আদালত কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত ইএসআইসি (ESIC) মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে এই বিষয়ে একটি বোর্ড গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল। জোকার ESIC হাসপাতালে ইতিমধ্যে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে। এই বোর্ড ঠিক করবে যে কালীঘাটের কাকুর বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতিতে তাঁর ভয়েস নমুনা সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া যাবে কিনা।