জাল টিকিটে সর্বশান্ত। পুলিশের হাতে জাল লটারি টিকিটের কারখানা।

অনেকের স্বপ্ন , লটারি কেটে রাতারাতি কোটিপতি হওয়া । সেই আশায় প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার লটারির টিকিট কাটে মানুষ । খবরের শিরোনামে উঠে আসে, ‘১০ টাকায় কোটিপতি’। পাড়ার মোড়ে মোড়ে লটারি দোকানের ছড়াছড়ি। দেদার বিক্রি হচ্ছে টিকিট। তার সঙ্গে রাজ্যে জাল লটারির টিকিটের অভিযোগও বিভিন্ন সময় উঠেছে। এবারে পুলিশ হদিশ পেল একটি জাল লটারি কারখানার।

গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে রবিবার রাতে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ ধুলিয়ান শিব মন্দির এলাকা থেকে আস্ত একটি লটারি কারখানার খোঁজ পেল। অভিযান চালিয়ে সংশ্লিষ্ট কারখানা থেকে কয়েক লক্ষ টাকার জাল লটারির টিকিট বাজেয়াপ্ত করেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি জেরস্ক মেশিন, জাল লটারি ছাপা মেশিন, এসি সহ বিভিন্ন সামগ্রী বাজেয়াপ্ত হয়েছে । ঘটনার পর থেকেই কারখানার মালিককে পাওয়া যাচ্ছে না । তিনি নিরুদ্দেশ। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

লটারিতে কারচুপির অভিযোগ বারবার তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকী তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল লটারিতে কোটি টাকা পাওয়ার পর বিষয়টির তদন্তেরও দাবি জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর অভিযোগ, কালো টাকাকে সাদা করতে লটারির টিকিট সংস্থাকে কাজে লাগানো হচ্ছে।

ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাতারাতি বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন দেখা মানুষজনের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। টিকেট ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকেই বলতে শুরু করেছেন এইভাবে জাল টিকিট তৈরি হলে তাদের ব্যবসার ক্ষতি হবে। সাধারণভাবে দেখে বোঝা খুব মুশকিল কোনটি আসল বা কোনটি নকল টিকিট। বাজেয়াপ্ত করার টিকিট দেখে পুলিশ জানিয়েছে খালি চোখে জাল টিকিটগুলিকে সনাক্ত করা খুবই দুষ্কর। এই জাল টিকিটের নেপথ্যে ঝাড়খণ্ডের একটি চক্রের যোগ আছে বলে পুলিশ মনে করছে। তাদের সনাক্ত করার কাজ শুরু করেছে পুলিশ।

Exit mobile version