রাম জন্মভূমি উদ্ধারের পাঁচশো বছরের  (১৫২৮ – ২০২৪) ইতিহাস।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। অনুষ্ঠানটি টেলিভিশন মাধ্যমে গোটা পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ করেছেন। রাম ভক্তদের ৫০০ বছরের অবিরাম লড়াইয়ের পর রামলালা তাঁর মন্দির স্বরূপ বাসভবনে অধিষ্ঠিত হলেন। রাম জন্মভূমি উদ্ধারের পাঁচশো বছরের  (১৫২৮ – ২০২৪) ইতিহাস এখানে বর্ণিত হল

অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালা

 

১৫২৮ : মুঘল সম্রাট বাবরের সেনাপতি মীর বাকি দ্বারা রাম মন্দির ধ্বংস করে বাবরি মসজিদ নির্মিত হয়।

বাবরি মসজিদ

আরও পড়ুন : সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৃহত্তম হিন্দু মন্দির ২২শে ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

১৮৮৫: মহন্ত রঘুবীর দাস বিতর্কিত কাঠামোর বাইরে একটি ছাউনি নির্মাণের অনুমতি চেয়ে ফৈজাবাদ জেলা আদালতে আবেদন করেন। আবেদন খারিজ হয়।

১৯৪৯: বিতর্কিত কাঠামোর বাইরে কেন্দ্রীয় গম্বুজের নীচে রাম লালার মূর্তি আবির্ভূত হয়।( কথিত আছে রামলালার মূর্তি ওখানে রাখা হয় )

১লা ফেব্রুয়ারী,১৯৮৬: স্থানীয় আদালত সরকারকে হিন্দুদের জন্য জায়গাটি খোলার নির্দেশ দেয়।

১৪ই আগস্ট, ১৯৮৯: এলাহাবাদ হাইকোর্ট বিতর্কিত কাঠামোর আশেপাশে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়।

৬ই ডিসেম্বর,১৯৯২: হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে ভগবান রামের জন্মস্থানের জায়গায় মোগল শাসক বাবরের নির্দেশে তৈরি করা বাবরি মসজিদ ‘কার সেবক’দের দ্বারা ভেঙে ফেলা হয়।

৩রা এপ্রিল, ১৯৯৩: বিতর্কিত এলাকায় কেন্দ্র সরকার কর্তৃক জমি অধিগ্রহণের জন্য ‘অযোধ্যায় নির্দিষ্ট এলাকা অধিগ্রহণ আইন’ পাস হয়।

এপ্রিল ২০০২: হাইকোর্ট বিতর্কিত এলাকার মালিকানা নির্ধারণের বিষয়ে শুনানি শুরু করে।



 

৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০১০: হাইকোর্ট, ২:১ সংখ্যাগরিষ্ঠতায়, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রামলালার মধ্যে বিতর্কিত এলাকার তিন ভাগে বিভাজনের জন্য আদেশ দেয়।

৯ই মে, ২০১১: সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যা জমি বিবাদে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতদেশ দেয় ।

➤  জানুয়ারী ২০১৯: মামলার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্ট পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করে।

৬ই অগাস্ট, ২০১৯: সুপ্রিম কোর্ট জমি বিবাদের উপর প্রতিদিনের শুনানি শুরু করে।

১৬ই অক্টোবর, ২০১৯: সুপ্রিম কোর্ট শুনানি শেষ করে এবং আদেশ সংরক্ষিত রাখে।

৯ই নভেম্বর, ২০১৯: একটি ঐতিহাসিক রায়ে, সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যার পুরো ২.৭৭-একর বিতর্কিত জমি দেবতা রামলালাকে হস্তান্তরের আদেশ দেয়। শীর্ষ আদালত কেন্দ্র এবং ইউপি সরকারকে একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলিমদের জন্য ৫ একর জমি বরাদ্দ করার নির্দেশ দেয়।

৫ই ফেব্রুয়ারী, ২০২০: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লোকসভায় অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য একটি ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা করেন।

৫ই আগস্ট, ২০২০: প্রধানমন্ত্রী মোদী রাম মন্দিরের ভিত্তি স্থাপন করেন ।

রাম মন্দির

 

➤ ২২শে জানুয়ারী, ২০২৪: ৫০০ বছর পর রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

Exit mobile version