বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আজ কাতারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আট ভারতীয়ের পরিবারের সাথে দেখা করেছেন। এক্স বার্তায় তিনি বলেছেন “ভারত সরকার মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে, আমরা পরিবারের যন্ত্রনা ও বেদনা ভাগ করে নিচ্ছি। এই বিষয়ে পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করে তাদের মুক্তির জন্য আমরা সমস্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।”
Met this morning with the families of the 8 Indians detained in Qatar.
Stressed that Government attaches the highest importance to the case. Fully share the concerns and pain of the families.
Underlined that Government will continue to make all efforts to secure their release.…
— Dr. S. Jaishankar (Modi Ka Parivar) (@DrSJaishankar) October 30, 2023
২৬শে অক্টোবর দোহার একটি স্থানীয় আদালত গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আট প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ৷ এই ৮ জন দোহার একটি কোম্পানিতে নিযুক্ত ছিলেন। ভারত সরকার এই রায়ে শোক প্রকাশ করেছে এবং এই রায়ের বিরুদ্ধে সমস্ত আইনি বিকল্প পথ গ্রহণ করার জন্য তৈরী হচ্ছে।
প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনীর ৮ জন কর্মকর্তা হলেন ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ট, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্ত এবং নাবিক রাগেশ। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে গ্রেপ্তার হওয়া ভারতীয় নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত আট কর্মীকে বৃহস্পতিবার কাতারের ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স কোর্ট তাদের বিরুদ্ধে এই রায় দিয়েছে।
গত বছরের ৩০শে আগস্ট, কাতারের গোয়েন্দা সংস্থা রাতের আঁধারে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত আট কর্মী কাতারে একটি প্রতিরক্ষা পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানি, দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিসে কাজ করছিলেন। তারপর থেকে, তাদের নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে, জামিন অস্বীকার করা হয়েছিল এবং এখন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সর্বোপরি, কাতারি কর্তৃপক্ষ আটজনের পরিবারের কাছে আটকের কারণ উল্লেখ করেনি। এই দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস কাতারি নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণের সাথে জড়িত ছিল।
২০১৯ সালে, কাতারি সরকারের সুপারিশে কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারিকে ভারত সরকার কর্তৃক প্রদত্ত প্রবাসী ভারতীয় সর্বোচ্চ সম্মান প্রদান করা হয়।