মেঘভাঙ্গা জলে তিস্তার ভয়ংকর আঘাতে সিকিম এখন বিপর্যস্ত। সিকিমের তিনটি জেলা মঙ্গন( উত্তর সিকিম), পাকিয়ং ও গ্যাংটক( পূর্ব সিকিম) ক্ষতগ্রস্থ। সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে মঙ্গনের।

১০ নং জাতীয় সড়কের অনেকগুলি জায়গা জলে ভেসে গেছে। তাই NH ১০ দিয়ে শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক যাওয়া এখন অসম্ভব। সিকিমে আটকে পড়েছেন তিন হাজারেরও বেশি পর্যটক।

https://twitter.com/shubhamtorres09/status/1709469370873987543

পুজোর সময় বিশাল সংখ্যায় পর্যটক পাহাড়ে যায়। তাদের অনেকেরই গন্তব্যস্থল হয় উত্তর সিকিম। ট্যুর কোম্পানিগুলির বুকিং প্রায়  শেষ হয়ে গেছে। মাথায় হাত তাদের। পর্যটকরা অনেকেই তাদের ট্যুর প্লেন কাট ছাঁট করে দার্জিলিং, কালিংপং বা ডুয়ার্সে সীমাবদ্ধ রাখতে চাইছে।

যারা প্ল্যান চেঞ্জ করছেন না তারা সিকিম যেতে পারেন গরুবাথানা, লাভা, রংপো হয়ে গ্যাংটক। সাধারণত সিকিম যেতে গেলে রাস্তা ভালো থাকলে সাড়ে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা সময় লাগে, কিন্তু এই রাস্তায় সময় লাগবে মোটামুটি ৯ থেকে ১০ ঘন্টা। তার সাথে সাথে রাস্তা বেশি হওয়ায় এবং গাড়ি কম থাকার জন্য গাড়ি ভাড়া অনেক বেশি গুনতে হবে আপনাদের।

একদিনের মধ্যে সিকিম থেকে শিলিগুড়ি এসে শিলিগুড়ি থেকে সিকিম ফেরা কোনোভাবেই সম্ভব নয় তাই সিকিমের গাড়ি শিলিগুড়িতে তেমনভাবে এখন আসছে না।

সুন্দরী সিকিম কে তার পুরনো জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়া খুবই বড় চ্যালেঞ্জের কাজ। লাচেন ও লাচুং সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা মঙ্গল থেকে আলাদা হয়ে গেছে। চুংথাম ড্যাম ভেঙে চুরমার। উপর থেকে এখন ড্যাম টাকে দেখলে বোঝা যায় সেদিন তিস্তা কি ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল।

মনে করা হচ্ছে প্রায় তিন হাজার জন পর্যটক লাচেন ও লাচুং সংলগ্ন এলাকায় আটকে আছেন। তাদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া সেনাবাহিনী ও সিকিম গভর্মেন্ট যৌথভাবে চালিয়ে যাচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি তাদের শিলিগুড়িতে ফিরিয়ে আনা হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *