তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র বৃহস্পতিবার অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁর সঙ্গে ‘মৌখিক বস্ত্রহরণ’ হয়েছে। এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান তাঁর সঙ্গে এ হেন আচরণ করেছেন। বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে রাতেই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে একটি চিঠি লিখলেন তৃণমূল সাংসদ।

স্পিকারকে লেখা চিঠিতে মহুয়া মৈত্রর বক্তব্য, ‘যে ইস্যুতে আমাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন না করে এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মানহানিকর এবং পূর্বপরিকল্পিত পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করলেন।’

মহুয়ার অভিযোগ, দু’ঘণ্টা ধরে লাগাতার এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান জঘন্য প্রশ্ন করে চলেছিলেন। যা ধীরে ধীরে সীমা অতিক্রম করছিল। শেষ পর্যন্ত পাঁচ জন বিরোধী দলের সদস্য এই ‘চিরহরণ’ সহ্য করতে না পেরে বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেন।

লোকসভার স্পিকারের কাছে এক জন মহিলা সাংসদ হিসাবে সুরক্ষাও চেয়েছেন মহুয়া। লোকসভার স্পিকারকে তিন পাতার চিঠিতে তাঁর অভিযোগ, যে কায়দায় তাঁকে প্রশ্ন করেছেন এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান, তা মর্যাদাহানিকর।

টিএমসি (TMC) সাংসদ মহুয়া মৈত্র সম্পর্কে, বিজেপি সাংসদ এবং সংসদের এথিকস কমিটির সদস্য অপরাজিতা সারঙ্গী বলেছেন, “মহুয়া মৈত্র শালীনতার সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গেছেন। আমরা মহুয়া মৈত্রকে তাঁর ওপর ওঠা অভিযোগের জবাব দিতে এবং আমাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। চেয়ারম্যান কয়েকটি প্রশ্ন করেছিলেন এবং প্রশ্নগুলি দর্শন হিরানন্দানির জমা দেওয়া হলফনামার বয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। সুতরাং সীমার বাইরে যাওয়ার বা হলফনামার বিষয়বস্তুর বাইরে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ছিল না।

প্রথমে মহুয়া মৈত্র ১ ঘন্টার বেশি তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কথা বলেছেন যেখানে আমি এবং বাকি কেউ আগ্রহী ছিল বলে আমি মনে করি না। তারপরে চেয়ারম্যান হলফনামার বিষয়বস্তু সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন করলে মহুয়া মৈত্র অশান্ত হয়ে পড়েন এবং কমিটির চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে সমস্ত ধরণের নোংরা ভাষা ব্যবহার করতে শুরু করেন । কোনো সংসাদের এরূপ আচরণে শোভা পায়না । তিনি খুব অভদ্র ভাবে একটি ভুয়ো নেরেটিভ তৈরি করার চেষ্টা করেছেন এবং ভিকটিম কার্ড খেলে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন…”

কি ঘটেছিলো সেদিন এথিক্স কমিটির বৈঠকে জানিয়েছেন এথিক্স কমিটির মেম্বাররা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *