ইসকন বা কৃষ্ণ কনসিয়াসান ইন্টারন্যাশানাল সোসাইটি সম্পর্কে বড় অভিযোগ করলেন মেনকা গান্ধী।
“ভারতে আজ সবচেয়ে বড় প্রতারক হল ইসকন। তারা গৌশালা প্রতিষ্ঠা করে যার জন্য তারা সরকার থেকে সীমাহীন সুবিধা পান। তারা বিশাল জমি পেয়েছে…সবকিছু। আমি এইমাত্র তাদের অনন্তপুট গোশালা পরিদর্শন করেছি। একটি শুকনো গরুও নেই। সবগুলোই গবাদিপশু। একটা বাছুরও নেই। মানে সব বিক্রি হয়ে গেছে। ইসকন তার সমস্ত গরু কসাইয়ের কাছে বিক্রি করছে,” সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল ভিডিওতে মেনকা গান্ধীকে বলতে শোনা যায়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ‘একটি শুকনো গরু’ মানে তিনি বলতে চেয়েছেন যে গরু দুধ দেয়না।
তাকে আরও বলতে শোনা যায়, “…তারা বলে যে তাদের পুরো জীবন দুধের উপর নির্ভরশীল…সম্ভবত তারা এত গরু বিক্রি করেছে টা অন্য কেউ করেনি।। এরা যদি এটি করতে পারে তবে অন্যদের কী হবে?”
ISKCON এর বিবৃতি
Response to the unsubstantiated and false statements of Smt Maneka Gandhi.
ISKCON has been at the forefront of cow and bull protection and care not just in India but globally.
The cows and bulls are served for their life not sold to butchers as alleged. pic.twitter.com/GRLAe5B2n6
— Yudhistir Govinda Das (@yudhistirGD) September 26, 2023
ইসকনের জাতীয় মুখপাত্র যুধিষ্ঠির গোবিন্দ দাস বলেছেন, ধর্মীয় সংস্থাটি শুধুমাত্র ভারত নয় বিশ্বের একাধিক দেশে গরু ও ষাঁড়ের সুরক্ষার জন্য লড়াই করে। গবাদি পশু যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠান সবার আগে থাকে। তিনি আরও বলেছেন গরু ও ষাঁড় কসাইদের কখনই বিক্রি করা হয় না। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
ইসকনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, যেখানে গরুর মাংস প্রধান খাদ্য সেখানেই ইসকন গরু সুরক্ষার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি আরও বলেছে, মেনকা গান্ধী একজন সুপরিচিক প্রাণী অধিকার কর্মী। তিনি ইসকনের শুভাকাঙ্খীও। তাই তাঁর বিবৃতিতে ইসকন কর্তৃপক্ষ রীতিমত অবাক হয়েছে।
“ইসকন বিশ্বের অনেক জায়গায় গরুর সুরক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে যেখানে গরুর মাংস একটি প্রধান খাদ্য। ভারতের অভ্যন্তরে, ইসকন শতাধিক পবিত্র গরু এবং ষাঁড়কে রক্ষা করে এবং তাদের সমগ্র জীবনকালের জন্য ব্যক্তিগত যত্ন প্রদান করে, ৬০ টিরও বেশি গোশালা পরিচালনা করে। বর্তমানে ইসকনের গোশালাগুলিতে রাখা অনেক গরু পরিত্যক্ত, আহত বা জবাই করা থেকে উদ্ধার করার পরে আমাদের কাছে আনা হয়েছিল,” বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
কয়েক মাস আগেও ইসকন খবরের শিরোনামে এসেছিল। প্রতিষ্ঠানের একজন সন্ন্যাসী স্বামী অমোঘ লীনা দাস বিবেকানন্দ ও পরমহংস রামকৃষ্ণের সমালোচনা করেছিলেন। মাছ খাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু তারপরই ইসকন কর্তৃপক্ষ অমোঘ লীলা দাসকে সাসপেন্ড করেছিল।
ইসকন এইরকম কাজ করতে পারে এদের বিশ্বাস করা মুস্কিল।