ইরানে বোমা হামলা ইসরায়েলের।ইসরায়েল শনিবারের সকালে একের পর এক বিমান হামলার মাধ্যমে ইরানের ওপর প্রত্যাখাত করতে শুরু করেছে। এই মাসের শুরুতে ইরান ইসরায়েলের উপরে যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রহার করেছিল এটা তারই প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইল বর্ণনা করছে।
ইরানের রাজধানী তেহরানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এই আক্রমণে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে সহিংসতা বৃদ্ধির সাথে সাথে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি করেছে। ইরান সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি যেমন গাজায় হামাস এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ ইতিমধ্যেই ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধ করছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর এই প্রকাশ্য আক্রমণ ১৯৮০ সালের ইরাকের সাথে যুদ্ধের পর এই প্রথম কোন বিদেশী শত্রুর কাছ থেকে নিরবচ্ছিন্ন গুলিবর্ষণের মুখোমুখি হলো ইরান ।
ইসরায়েলের এক ঘন্টাব্যাপী হামলা তেহরানে সূর্যোদয়ের ঠিক আগে শেষ হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে যে এটি “গত বছর ইসরায়েলে ইরান যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ছুঁড়েছিল সেগুলি যে ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্রে তৈরি হয়েছিল সেই কেন্দ্রগুলিকেই লক্ষ্য করা হয়েছে ।”
ইসরায়েল এবং ইরান উভয়ই প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির কোনোও মূল্যায়ন দেয়নি।
“ইরানের সরকার এবং এই অঞ্চলের প্রক্সিরা ইরানের মাটি থেকে সরাসরি ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের উপর নিরলসভাবে আক্রমণ করছে, বিশ্বের অন্যান্য সার্বভৌম দেশের মতো, ইসরায়েল রাষ্ট্রেরও প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার এবং কর্তব্য রয়েছে।” – ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডএম ড্যানিয়েল হাগারি শনিবারের প্রথম দিকে একটি পূর্বনির্ধারিত ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন।
ইরানের ১লা অক্টোবরের হামলার পর প্রাথমিকভাবে, ইরানের পারমাণবিক এবং তেল উৎপাদন কেন্দ্রগুলিকে ইসরায়েল সম্ভাব্য লক্ষ্য হিসাবে ভাবা হয়েছিল, কিন্তু অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে বাইডেন ইসরায়েলের কাছ থেকে এই আশ্বাস পেয়েছিল যে তারা এই ধরনের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করবে না।
তেহরান জুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ইরানের সরকারি মিডিয়া তেহরানে বিস্ফোরণের কথা স্বীকার করেছে এবং বলেছে যে কিছু শব্দ শহরের চারপাশের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে এসেছে।
কিন্তু কিছু ছোট খাটো রেফারেন্সের বাইরে, ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এই আক্রমণের কোন বিশদ বিবরণ দেয়নি। আক্রমণটিকে ছোট করে দেখাবার জন্য তারা
তেহরানের একটি সবজির বাজারে ট্রাক লোড করার লাইভ ফুটেজ দেখাতে শুরু করেছে।একটি আপাত প্রয়াসে
তেহরানের একজন বাসিন্দা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন যে হামলার সময় একটি তরঙ্গ দেখা যায় ও কমপক্ষে সাতটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। সে আরও বলে এই আক্রমণে আশেপাশের এলাকাকে কেঁপে ওঠে।
বিস্ফোরণের ফুটেজে দেখা গেছে যে সারফেস টু এয়ার মিসাইল উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ইরান শনিবারের সকাল থেকেই দেশের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়।