চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে। বিচারপতি কেন লড়তে পারেন তমলুক থেকে?

চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে। কালই জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কোন দলে যাচ্ছেন, তিনি তা জানাননি। জানিয়েছেন, তৃণমূলে কোনও ভাবেই নয়, অন্য কোনও দলে। তাঁকে প্রার্থী করলে লোকসভার ভোটে তিনি লড়াই করবেন। এখন একটাই আলোচ্য বিষয় কোন দলে যাচ্ছেন জাস্টিস অভিজিৎ গাঙ্গুলী। 

ঘটনার সূত্রপাত গতকাল এবিপি আনন্দে প্রকাশিত হওয়া বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির একটি সাক্ষাৎকার থেকে। সেখানেই তিনি প্রথম ঘোষণা করেন তিনি মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের ১৭ নম্বর রুম থেকে পেরিয়ে সোজা প্রবেশ করবেন রাজনীতির অলিন্দে। মঙ্গলবার তিনি তার পদত্যাগ পত্র ভারতের রাষ্ট্রপতি, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কে পাঠিয়ে দেবেন। যা খবর পাওয়া যাচ্ছে আগামী ৭ তারিখ বা ১০ তারিখ তিনি বিজেপির পতাকা গ্রহণ করবেন।

খবর পাওয়া যাচ্ছে বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী তমলুক থেকে পদ্মফুলে লড়তে পারেন। এটাও জানা যাচ্ছে কিছুদিন আগে বিজেপির রাষ্ট্রীয় নেতাদের সঙ্গে তাঁর এ বিষয়ে একপ্রস্ত আলোচনা হয়েছে।

আরও পড়ুন :  বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা। পদত্যাগ করছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হবেন রাজনীতিবিদ।

তমলুককে কেন বাছা হলো ?

শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু এখন খাতায়কলমে তমলুকের তৃণমূলের সাংসদ। অনেকেই বলছেন এই আসনটি অধিকারী পরিবারের বাঁধা। তাই এই ‘সেফসিট’ থেকে তাঁকে জিতিয়ে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর হাত শক্ত করবেন শুভেন্দু অধিকারী।

কেন তমলুক ? এ বিষয়ে একটি অন্য মতও শোনা যাচ্ছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে হাইকোর্টে আপসহীন লড়াইয়ের জন্যই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আজ শিক্ষিত বেকার যুবকদের মধ্যে ভগবানের আসনে অধিষ্ঠিত। আন্দোলনকারী শিক্ষিত বেকারদের মধ্যে বেশিরভাগই পূর্ব মেদিনীপুরের যুবক-যুবতী। তাই তাদের অভিজিৎ গাঙ্গুলীর প্রতি শ্রদ্ধা কে কাজে লাগাতে চাইছে পদ্মশিবির।

————————বিজ্ঞাপন————————-

————————————————————–

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তমলুকের প্রার্থী হতে পারেন, এমন সম্ভাবনার কথা জনসমক্ষে আসার পর থেকেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর দেওয়া বিভিন্ন রায়ের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে শাসক তৃণমূল।

রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও বলেন, ‘‘আমরা বার বার বলতাম, ওই চেয়ারে বসে উনি যে মন্তব্যগুলো করতেন, তা করা যায় না। এ বার যদি উনি কোনও রাজনৈতিক দলে যান, তা হলে রাজনৈতিক লড়াই হবে৷ আমি জানি না, শুভেন্দু কতটা পারবে৷ কিন্তু আমার কাছে তমলুকে তৃণমূলই জিতবে৷ তাই উনি জাস্টিসের সিট ছেড়ে দিয়ে যদি হেরে যান, এটাতে আমাদেরও খুব খারাপ লাগবে।’’

Exit mobile version