সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অভিযুক্ত মহেশ কুমাওয়াত গ্রেপ্তার। ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অভিযুক্ত মহেশ কুমাওয়াত গ্রেপ্তার। লোকসভায় হামলা চালানোর ষড়যন্ত্রের সাথে কুমাওয়াতও যুক্ত ছিল সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর শনিবার দিল্লি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

সংসদে হামলার মূল চক্রে ললিত ঝা পলাতক অবস্থায় রাজস্থানে মহেশের কাছে যায়। ইন্ডিয়া টুডে এর রিপোর্ট অনুযায়ী ললিত বাকি চারজনের মোবাইল ফোন নিজের কাছে রাখে সেগুলিকে নষ্ট করার মূল দায়ী এই মহেশ।

দিল্লী পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এই চক্রের মহিলা অভিযুক্ত নীলামের সাথে যোগাযোগে ছিল এই মহেশ এবং সংসদে হামলার দিন মহেশ দিল্লিতে এসেছিল। মহেশের ভাই কৈলাশকেও দিল্লি পুলিশ এই মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে, কিন্তু তাকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি।

শনিবার অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং প্রমাণ ধ্বংসের অভিযোগে দিল্লি পুলিশ গ্রেপ্তার করার পরই পাতিয়ালা হাউস কোর্ট মহেশ কুমাওয়াতকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে। পুলিশের মতে, মহেশ গত দুই বছর ধরে অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং সে ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। সে অভিযুক্তদের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রায় সমস্ত বৈঠকে যোগদান করেছিল এবং মূল অভিযুক্ত ললিত ঝা-এর সাথে মোবাইল ফোন এবং প্রমাণ ধ্বংস করার কাজে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল, পুলিশ আদালতকে বলেছে।

সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা

১৩ই ডিসেম্বর, লোকসভা কক্ষের উপরে পাবলিক গ্যালারি থেকে দুই যুবক সংসদদের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ধোঁয়ার ক্যানিস্টার ছুড়ে দেয়। সমস্ত সাংসদদের মধ্যে তখন বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে সাংসদরা ঐ দুই যুবককে ধরে ফেলে।

সেই সময়, তাদের দলের অন্য দুই সদস্য নীলম দেবী এবং অমল শিন্ডে সংসদের বাইরে ধোঁয়ার ক্যানিস্টার নিয়ে “তানাশাহি নাহি চালেগি” বলে চিৎকার করতে করতে বাতাসে রঙিন ধোঁয়া ছুড়ে দেয়। নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের গ্রেফতার করে।

পুলিশ বলেছে, আসামীরা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে এবং সরকারকে তাদের দাবি পূরণে বাধ্য করাতে চেয়েছিল। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Exit mobile version