বর্তমান কেন্দ্র সরকারের নেতৃত্বে গোটা দেশজুড়ে কার্যত রেল বিপ্লব চলছে। ট্রেনগুলির গতি বাড়ানো থেকে শুরু করে স্টেশনের মান উন্নয়ন,বন্দে ভারত ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো সবই চলছে একসাথে। এক কথায় ভোলাবদল হচ্ছে ভারতীয় রেলে। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে মাথায় রেখেই গোটা দেশজুড়ে রেলে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে মোদী সরকার।
Indian Railways Mega Plan:
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সাতটি করিডরকে বেছে নেওয়া হয়েছে এই ১০ বছরের মেগা প্ল্যানে। যার মধ্যে রয়েছে বাংলার তিনটি করিডর হাওড়া-দিল্লি, হাওড়া-মুম্বই এবং হাওড়া-চেন্নাই রয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্ল্যানের আওতায় যেমন রেলওয়ে ট্র্যাকের ডাবলিং, থার্ড এবং ফোর্থ লাইনের ঢালাও কাজ করা হবে, তেমনই তৈরি হবে একাধিক রেল-ওভার-ব্রিজ ও আন্ডারপাস। আর এই কাজ করতে ৪.২ লাখ কোটি টাকা খরচ হবে বলে প্রস্তাব রেলমন্ত্রকের।
https://twitter.com/IndianTechGuide/status/1718230653601468856
বাংলা সহ সাতটি করিডরের কাজের শিলমোহর পেলে রেল (Indian Rail) যেমন যাত্রী পরিষেবার উন্নতি হবে তেমনি পণ্য পরিবহনেও গতি আসবে বলেও মনে করা হচ্ছে। বাংলার তিনটি করিডর ছাড়াও বাকি করিডরগুলি হল – দিল্লি-মুম্বই, দিল্লি-গুয়াহাটি, দিল্লি-চেন্নাই এবং মুম্বই-চেন্নাই। প্রায় ১১ হাজার কিলোমিটার জুড়ে এই সাত করিডরের কাজ শুরু হবে।
এই সাত রেল করিডর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে মোট রেল নেটওয়ার্কের ৪১ শতাংশ পণ্য এবং যাত্রী পরিবহণ এই সাত করিডরের মাধ্যমে সম্পর্ণ হয়।
রেল মন্ত্রক কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সামনে একটি প্রস্তাব পেশ করেছে যাতে একটি প্রোগ্রামের রূপরেখা স্থির করা হয় যা পরবর্তী ১০ বছরে (২০২৪-২৫ থেকে ২০৩৩-৩৪) সম্পর্ণ করা হবে। এই উদ্যোগের মধ্যে রেল ট্র্যাক দ্বিগুণ করা এবং চিহ্নিত করিডোরের বিভিন্ন অংশে তৃতীয় এবং চতুর্থ লাইন স্থাপন করা হবে।এই পরিকল্পনায় মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ফ্লাইওভার এবং আন্ডারপাস তৈরী করার কথাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তার প্রস্তাবে জানিয়েছে যে সামগ্রিক মাল পরিবহনে রেলওয়ের বর্তমান অবদান মাত্র ২৭%, যেখানে সড়ক পথে পণ্য পরিবহণের পরিমান প্রায় ৭০%। রেলওয়ে যদি কার্গো পরিবহনে তাদের অংশ ৩৫% এ বাড়িয়ে তুলতে পারে তবে এটি সামগ্রিক লজিস্টিক ব্যয়ের প্রায় ৫.২% উল্লেখযোগ্য হ্রাস হতে পারে।
মালবাহী ট্রেনগুলির গড় গতি বর্তমানে প্রায় ১৮-২০ কিমি /ঘণ্টা , যেখানে উন্নত দেশগুলিতে এটি প্রায় ৫০ কিমি /ঘণ্টা। মন্ত্রক লজিস্টিক খরচের উপর ধীরগতির মালবাহী ট্রেনের সরাসরি প্রভাবকেও এই মেগা প্ল্যানে উল্লেখ করা হয়েছে । মালবাহী পরিবহন থেকে পাওয়া রাজস্ব রেলওয়ের আর্থিক স্থিতিশীলতাকে আরও সুদৃঢ করবে, যা যাত্রী পরিবহনে হওয়া ক্ষতিকে পূরণ করবে।