মুভি ‘৬৯৫’ রাম জন্মভূমির ৫০০ বছরের সংগ্রামের ইতিহাস। মুক্তি পাবে ১৯শে জানুয়ারি,২০২৪।

সমগ্র ভারতবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন এবং ভগবান রামের বাল্যরূপের প্রাণ প্রতিষ্ঠার । তারিখ স্থির হয়েছে। ভগবান রাম ২২শে জানুয়ারী ২০২৪-এ তাঁর নতুন প্রাসাদে প্রবেশ করবেন। কিন্তু, তার আগেই রূপালি পর্দায় আসতে চলেছে রাম জন্মভূমির ৫০০ বছরের সংগ্রামী কাহিনী। রামজন্মভূমির এই কাহিনী নিয়ে টিভির রাম অরুণ গোভিল একটি চলচ্চিত্র নিয়ে আসছেন।

ছবিটি কবে মুক্তি পাবে

এই ছবির নাম ‘৬৯৫’ (695)। ছবিতে অরুণ গোভিলকে বাবা অভিরাম দাস নামক এক সাধুর চরিত্রে দেখা যাবে। শাদানি ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন যোগেশ ও রজনীশ বেরি। ছবিটি রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠান ঠিক তিন দিন আগে ১৯শে জানুয়ারি,২০২৪ মুক্তি পাবে।

৬৯৫ নামের গুরুত্ব

ছবির প্রযোজক শ্যাম চাওলা রামজন্মভূমি আন্দোলনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে একত্রিত করার জন্য ছবির এই নাম রেখেছেন।

এই তিনটি ঘটনার তারিখের নাম্বার যোগ করে ছবির নাম রাখা হয়েছে ৬৯৫

৬৯৫ ছবিতে কারা কারা অভিনয় করেছেন

অরুণ গোভিল ছাড়াও, অশোক সমর্থ, মুকেশ তিওয়ারি, গোবিন্দ নামদেব, অখিলেন্দ্র মিশ্র এবং গজেন্দ্র চৌহানের মতো আরও অনেক অভিনেতাকেও ছবিতে বিভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে। সাধুর চরিত্র অনুযায়ী নিজের লুকও বদলে ফেলেছেন রামানন্দ সাগরের ‘রামায়ণ’ এর রাম অরুণ গোভিল। লম্বা সাদা চুল এবং সাদা দাড়িতে অরুণ গোভিলকে সম্পূর্ণ আলাদা দেখাচ্ছে। তিনি তার এক্স হ্যান্ডেলে ৬৯৫ ছবির ট্রেলারও পোস্ট করেছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত ‘৬৯৫‘ ছবির সাংবাদিক সম্মেলনে অভিনেতা অরুণ গোভিল বলেন “আগে এ ধরনের চলচ্চিত্রের কথা ভাবতে না পারলেও এখন আমরা এমন চলচ্চিত্র নির্মাণ করছি।”

অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দিয়েছেন অভিনেতা অরুণ গোভিল। তিনি বলেছেন, ‘অযোধ্যায় ভগবান শ্রী রামের মন্দির নির্মাণের কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেওয়া উচিত। তিনি তার সহযোদ্ধাদের সাথে যুদ্ধ করেছিলেন, তার কারণেই ভগবান শ্রী রামের মন্দির নির্মাণ সম্ভব হয়েছিল। আমরা আমাদের সংস্কৃতির সাথে পুনরায় সংযোগ স্থাপন করছি। গাছের শিকড় আর আমাদের সংস্কৃতি একই, গাছের শিকড়ে জল না দিলে শুকিয়ে যায়, আমাদের সংস্কৃতিও এমন।”

রামায়ণের রামের ভূমিকায় অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন “প্রভু শ্রী রাম তাঁর চরিত্রে অভিনয় করার জন্য আমাকে বেছে নিয়েছিলেন। তাই আমি ভগবান শ্রী রামের চরিত্রে অভিনয় করতে পেরেছি। এতে আমার কোনো ভূমিকা নেই। যখন রামায়ণ সম্প্রচার শুরু হয়, তখন আমি পাকিস্তান থেকে প্রচুর চিঠি পেতাম। মানুষ আমার মধ্যে তাদের হারিয়ে যাওয়া ছেলেদের আভাস দেখেছিলেন। ভগবান শ্রী রামের কৃপায় আমি তাঁর চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছি। আর, মানুষ আমাকে ভালোবাসা দিয়েছে।”

Exit mobile version