রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি স্থাপিত হল।

২২শে জানুয়ারী রাম মন্দিরে রামলালার ‘প্রাণ-প্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠানের আগে বৃহস্পতিবার অযোধ্যার রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি স্থাপিত হল।

অভিষেক অনুষ্ঠানের সাথে যুক্ত পুরোহিত অরুণ দীক্ষিত সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন যে বৃহস্পতিবার বিকেলে রামলালার মূর্তি গর্ভগৃহে স্থাপন করা হয়েছে। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে, প্রার্থনার জপের মধ্যে এটি করা হয়েছে।

অরুণ দীক্ষিত আরও বলেছেন যে ‘প্রধান সংকল্প’ ট্রাস্টের সদস্য অনিল মিশ্র দ্বারা করা হয়েছে । “‘প্রধান সংকল্প’-এ ভগবান রামের কাছে সকলের কল্যাণের জন্য, জাতির কল্যাণের জন্য, মানবতার কল্যাণের জন্য এবং যারা এই কাজে অবদান রেখেছেন তাদের জন্যও আশীর্বাদ প্রার্থনা করা হয়েছে। ” পিটিআই জানিয়েছে।

রামলালার মূর্তিটি গর্ভগৃহে স্থাপনের জন্য আনা হচ্ছে। ছবি – পিটিআই

৫১ ইঞ্চি রামলালার মূর্তিটির ওজন আনুমানিক ২০০ কেজি। মূর্তিটিকে “জলধিবাস” আচারের অংশ হিসাবে ভেজা কাপড় দিয়ে ঢাকা হয়েছিল এবং তারপর “গন্ধাধিবাস” আচারের অংশ হিসাবে চন্দন এবং কেশর দিয়ে তৈরি একটি বিশেষ পেস্ট মূর্তির ওপর লাগানো হয়।

আরও পড়ুন:  রামলালার মূর্তির ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ কে? জেনে নিন তাঁর অসামান্য কীর্তিগুলি।

প্রতিমা স্থাপনের পর গর্ভগৃহ পরিষ্কার করে পর্দা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র আচার্য যারা “যজমান”-এর সাথে একাধিক আচার অনুষ্ঠান করবেন যেমন গণেশ অম্বিকা পুজন,বরুণ পুজন এবং বাস্তু পুজন তাদের গর্ভগৃহে যাবার অনুমতি দেওয়া হয়।

জলধিবাসের সময় মূর্তিকে নদীর জলে স্নান করানোর বিধান থাকলেও যেহেতু মূর্তির আকার বড় তাই এই মূর্তির পায়ের কাছে একটি জলের কলশ রাখা হয় এবং জলে ভিজানো একটি কাপড় তার উপর ঢেকে দেওয়া হয়।

মন্দির থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে মণ্ডপে শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে হবন শুরু হয়েছে এবং এই হবন ২২শে জানুয়ারী পর্যন্ত চলবে। এই হবনের অগ্নি ব্যবহার করে মন্দিরের নয়টি কোণে ‘নয়টি কুণ্ড’ জ্বালানো হবে বলে জানা যাচ্ছে।

মোদি বৃহস্পতিবার তার মন্ত্রিসভার সহকর্মীদের ২২শে জানুয়ারী দীপাবলির মতো করে রাম মন্দিরের প্রাণ-প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান উদযাপন করতে বলেছেন। বাড়িতে প্রদীপ জ্বালিয়ে এবং দরিদ্রদের মধ্যে অন্ন বিতরণের মধ্যে দিয়ে উদযাপনের বার্তা দিয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রীদেরও ২২শে জানুয়ারীর পরে তাদের নিজ নিজ রাজ্যের ভক্তদের সাথে মন্দির পরিদর্শন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

Exit mobile version