জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা দরকার। আচমকা জাতীয় সঙ্গীত শুরু করা যায় না। বিজেপি বিধায়কদের করা মামলায় এমনটাই মন্তব্য করলেন মাননীয় বিচারক জয় সেনগুপ্ত। জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা হয়েছে বলে তৃণমূলের তরফ থেকে ১১ জন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। তাকে চ্যালেঞ্জ করেই উচ্চ আদালতে যায় বিজেপি।
হাইকোর্টে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলাটি শোনার সময় বিচারপতির বলেন, ‘‘হঠাৎ করে জাতীয় সঙ্গীত শুরু করা যায় না। এখানে যদি এখন কেউ জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন, তা হলে তো সব কাজ বন্ধ করে সবাইকে দাঁড়িয়ে পড়তে হবে। এমনটা করা যায় নাকি! অবশ্যই জাতীয় সঙ্গীতের জন্য একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা উচিত।’’
কথিত জাতীয় সংগীত অবমাননার ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার। তৃণমূলের বিধায়করা কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ করছিলেন। উপস্থিত ছিলেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতবর্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কলকাতায় এসেছিলেন। অমিত শাহের সভা শেষ হওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বিধানসভায় আসেন।
তৃণমূলের বিধায়করা যেখানে বিক্ষোভ করছিলেন তার থেকে ৫০ মিটার দূরে বিধানসভার সিড়িতে বসে বিক্ষোভ ও স্লোগান শুরু করে। ঠিক এই সময় তৃণমূলের বিধায়করা জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া শুরু করেন। তৃণমূল বিধায়কদের অভিযোগ যখন তারা জাতীয় সংগীত গাইছিলেন তখন বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিচ্ছিল। তৃণমূলের তরফ থেকে ১২ জন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে শিকারকে অভিযোগ করা হয়।
ঐ ১২ জনের তালিকায় বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের নাম ভুল করে দিয়ে ফেলে তৃণমূল বিধায়করা । পরে সুমন কাঞ্জিলালের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করা হয় ও ৫ জন বিজেপি বিধায়ককে লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়।