পালসিট থেকে ডানকুনি পর্যন্ত জাতীয় সড়ক ১৯ এর সম্প্রসারণের কাজ চলছে। রাস্তাটি ৪ লেন থেকে ৬ লেনে সম্প্রসারিত হচ্ছে। এই জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে কিছু সংশোধনের জন্য অনুরোধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাস্তার নির্মাণকাজ করছে আদানি গোষ্ঠী। সিঙ্গুর এলাকায় ওই রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর সেই অনুরোধ মেনে নিল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।
বর্ধমানের পালশিট থেকে হুগলির ডানকুনি প্রায় ৬৩.৮৩ কিলোমিটার পথ সম্প্রসারিত হচ্ছে ৬ লেনে। কাজ চলছে জোর কদমে। প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, প্রাথমিক নকশায় ওই পথে সাবওয়ে বা ‘ফুট-ওভার ব্রিজ’ ছিল না। প্রকল্প শুরুর পর থেকে সিঙ্গুর এলাকার জন্য মন্ত্রী বেচারাম মান্না সাবওয়ে এবং ফুট-ওভারব্রিজের দাবি করেন । মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী গডকড়িকে সেই দাবি লিখে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি।
সূত্রের দাবি, পালশিট থেকে ডানকুনির মধ্যে ১৭টি জায়গায় সাবওয়ে অথবা ফুট ওভার ব্রিজ হবে। তার মধ্যে ১২টি জায়গাই সিঙ্গুরের আশেপাশে ।পরিবর্তনের কারণে ওই প্রকল্পের খরচ বাড়তে চলেছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞ মহলের অনেকের মতে, সাধারণত, প্রকল্প চালু হয়ে গেলে নির্মাণের মাঝপথে তাতে কোনও পরিবর্তন হয় না । কিন্তু এ ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাব ফেরাননি নিতিন গডকড়ি। খরচ বাড়বে জেনেও এই প্রকল্পের পরিবর্তনে কেন্দ্রের সম্মতিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।