অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অপমানিত পাকিস্তান ক্রিকেট টিম। অভ্যর্তনার জন্য এলো না কেউ।

ওডিআই বিশ্বকাপ থেকে গ্রুপ পর্যায়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছে পাকিস্তান দল। অস্ট্রেলিয়াতে পৌঁছে জুটল না কোনো অভ্যর্থনা, অপমানিত হতে হলো পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের।

পাকিস্তানের সিনিয়র দল সরকারি সফরে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছেছে। তারা যখন ক্যানবেরা বিমান বন্দরে পৌঁছায় তখন তাদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য উপস্থিত ছিল না অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের কোন কর্মকর্তা বা কোন সরকারি আধিকারিক। উল্লেখযোগ্য ভাবে সেখানে উপস্থিত ছিল না পাকিস্তান দূতাবাসের ছোট বড় কোন আধিকারিক। দেখে মনে হচ্ছিল যেন পাকিস্তানের অস্ট্রেলিয়া সফরকে সেভাবে কেউ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না। অনেকে মনে করছে পাকিস্তান সরকারের বেহাল দশার জন্যই পাক ক্রিকেটারদের অপমানিত হতে হলো।

একটি দেশের দল যখন অন্য দেশে খেলার জন্য যায় তখন দুদেশের মধ্যে একটি এগ্রিমেন্ট আগে থেকে স্বাক্ষরিত হয়। যেখানে উল্লেখ থাকে সফরে আসার দলটি কোথায় থাকবে, কি সুযোগ সুবিধা পাবে, কিভাবে ভ্রমণ করবে। পাক ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান পরিস্থিতিতে কর্মকর্তারা হয়তো অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সেরকম কোন চুক্তি স্বাক্ষর করেনি।

একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পা ক্রিকেটাররা তাদের নিজস্ব জিনিসপত্র নিজেরাই ট্রাকে তুলছেন। কোন বিমানবন্দর কর্মী বা অফিসিয়াল তাদের সাহায্য করার জন্য আসেনি। সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন মহম্মদ রিজওয়ান। রিজওয়ানকে ট্রাকের ভেতরে দাঁড়িয়ে সহ খেলোয়ারদের জিনিসপত্র ট্রাকের মধ্যে সাজিয়ে রাখতে দেখা যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে।

ওয়ার্ল্ড কাপ জয়ী একটি টেস্ট খেলিয়ে দেশের যে অপমান অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হল তা আগে কোনদিন দেখা যায়নি। ভাঁড়ার শূন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডই এই অপমানের জন্য দায়ী।

তবে পাকিস্তানবাসীরা এই ভিডিওটিকে খেলোয়াড়দের সহজ সরল জীবন যাত্রার নিদর্শন বলে দাবি করছে। কিন্তু আসল বিষয়টি হলো বিদেশের মাটিতে খেলতে গিয়ে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের যে অপমান এর সম্মুখীন হতে হল তা বিরল।

কয়েকটি প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলার পর ১৪ ই ডিসেম্বর টেস্ট ম্যাচ দিয়ে সফর শুরু করবে পাকিস্তান। বিশ্বকাপের পর বাবার আজাম অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর শান মাসুদ অস্ট্রেলিয়া সফরে অধিনায়ক হয়েছেন।

Exit mobile version