আজ রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর যশোভূমি কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লির দ্বারকায় ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অ্যান্ড এক্সপো সেন্টার (আইআইসিসি) এর প্রথম পর্বের উদ্বোধন হলো,যার নাম ‘যশোভূমি’।২০শে সেপ্টেম্বর ২০১৮ -এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।

দিল্লি বিমানবন্দর এক্সপ্রেসের সম্প্রসারণের উদ্বোধনের পর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধনের জন্য যশোভূমিতে IICC কেন্দ্রে পৌঁছেছিলেন। সেখানে তিনি একটি নতুন স্কিম ‘পিএম বিশ্বকর্মা’ চালু করার আগে ভগবান বিশ্বকর্মাকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

‘যশোভূমি’ এশিয়ার বৃহত্তম কনভেনশন সেন্টার

এই কনভেনশন সেন্টারটি ১.০৭ লক্ষ বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে নির্মিত। এটি প্রদর্শনী, বাণিজ্য মেলা এবং ব্যবসায়িক ইভেন্টের জন্য ব্যবহার করা হবে।

যশোভূমি। চিত্র সৌ : এক্স

যশোভূমি কনভেনশন সেন্টারের ঐতিহ্যের ছোঁয়া

কনভেনশন সেন্টারটি ভারতীয় সংস্কৃতি থেকে অনুপ্রাণিত উপকরণ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে যেমন টেরাজো মেঝে (terrazzo floors), পিতলের ইনলে দিয়ে রঙ্গোলি, ঝুলন্ত শব্দ শোষণকারী ধাতব সিলিন্ডার এবং আলোকিত প্যাটার্নযুক্ত দেয়াল।

‘যশোভূমি ‘ তে একটি আধুনিক ওয়েস্ট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট সিস্টেম  এবং ১০০% বৃষ্টির জল সংগ্রহের ব্যবস্থা রয়েছে। কমপ্লেক্সটি ইন্ডিয়ান গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল থেকে প্ল্যাটিনাম শংসাপত্র পেয়েছে।

৭৩ হাজার বর্গ মিটারেরও বেশি এলাকা জুড়ে নির্মিত কনভেনশন সেন্টারে মেন অডিটোরিয়াম, গ্র্যান্ড বলরুম এবং মোট ১১০০০ জন প্রতিনিধি ধারণ ক্ষমতা সহ ১৩ টি সভা কক্ষ ও ১৫ টি সম্মেলন কক্ষ রয়েছে। কনভেনশন সেন্টারের সম্মুখভাগে দেশের বৃহত্তম LED মিডিয়া রয়েছে।

এই কনভেনশন সেন্টারের প্রধান অডিটোরিয়াম হলটিতে প্রায় ৬০০০ অতিথির বসার ব্যবস্থা আছে।কমপ্লেক্সে ৩০০০ টিরও বেশি গাড়ির জন্য একটি ভূগর্ভস্থ গাড়ি পার্কিং সুবিধা রয়েছে এবং ১০০ টিরও বেশি বৈদ্যুতিক চার্জিং পয়েন্ট রয়েছে । কমপ্লেক্সটিতে শক্তি এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সমস্ত কাঠামোর ছাদে সোলার প্যানেল লাগানো হয়েছে।

‘যশোভূমি’ দেশকে উৎসর্গ করার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের কারিগর সমাজের জন্য ‘পিএম বিশ্বকর্মা’ পরিকল্পনার শুভ সূচনা করলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *