গত মাসে কাতারের একটি আদালত আট প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল। এ বিষয়ে ভারত সরকার কাতার আদালতের দেওয়া আদেশের পুনঃবিবেচনা করার জন্য আপিল করে। বৃহস্পতিবার কাতারের আদালত সেটি গ্রহণ করেছে। আদালত জানিয়েছে যে তারা আপিলটি অধ্যয়ন করছে এবং পরবর্তী শুনানি শীঘ্রই করা হবে।

২৬শে অক্টোবর, কাতারের আদালত আটজন ভারতীয়কে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এই ৮ জন প্রাক্তন নৌ সেনা কর্মী বেসরকারী কোম্পানি আল দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিসেসে কাজ করতেন এবং ২০২২ সালের আগস্টে গ্রেপ্তার হন।

কাতারি কর্তৃপক্ষ বা নয়াদিল্লি ভারতীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রকাশ্যে আনেনি। যখন মৃত্যুদণ্ডের খবর প্রকাশিত হয়েছিল, ভারত এই রায়কে “গভীরভাবে” মর্মান্তিক বলে বর্ণনা করেছিল এবং মামলায় সমস্ত আইনি লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

আরও পড়ুন : ভারত সরকার মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে৷ কাতারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয়দের পরিবারের কাছে এস জয়শঙ্কর।

অরিন্দম বাগচি গত সপ্তাহে তার সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, “মামলাটি বর্তমানে সেখানে একটি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। আমরা যেমন উল্লেখ করেছি, কাতারের আপিল আদালতে একটি আপিল দায়ের করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “আমি আবারও সবাইকে অনুরোধ করব মামলার সংবেদনশীল প্রকৃতি বিবেচনা করে জল্পনা-কল্পনায় না জড়াতে।”

আগের বছর আগস্টে, কাতার আটজন প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে ইসরায়েলের গুপ্তচর হিসাবে কাজ করার সন্দেহে আটক করেছিল। প্রাক্তন অফিসাররা হলেন – ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ট, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্ত এবং নাবিক রাগেশ।

নৌবাহিনীর অভিজ্ঞ সেনাদের জামিনের আবেদন কাতারি কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকবার প্রত্যাখ্যান করেছে। চলতি বছরের অক্টোবরে কাতারের ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স কোর্ট এই মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *