চীনে শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট জনিত অসুস্থতা দ্রুত বেড়ে চলেছে। এই অসুস্থতার কারণ সেখানকার চিকিৎসকরা এখনো খুঁজে পাননি । যদিও তারা ‘নভেল করোনা ভাইরাস’ বা কোভিড ভাইরাস কে এর জন্য দায়ী করছেন না।

কেন্দ্র সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে যে তাদের রাজ্যের হাসপাতালের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করতে কারণ স্বাস্থ্য মন্ত্রক চীনে শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার ঘটনাগুলিতে প্রতিনিয়ত নজর রেখে চলেছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং শীতের মরসুমের কারণে, মন্ত্রক রাজ্যগুলিকে তাদের হাসপাতালের প্রস্তুতির ব্যবস্থা যেমন হাসপাতালের বিছানা, ওষুধ এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য ভ্যাকসিন, মেডিকেল অক্সিজেন, অ্যান্টিবায়োটিক, পিপিই ইত্যাদির ব্যবস্থা রাখতে বলেছে।

এর আগে, স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছিল যে চীনের রহস্য নিউমোনিয়া থেকে ভারতের ঝুঁকি কম কিন্তু সরকার সব ধরনের জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত।

চীন, এখনও COVID-19 মহামারীর ক্ষত মুছে উঠতে পারেনি, তার সঙ্গে একটি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তারা। চীনে একটি রহস্যময় নিউমোনিয়া প্রাদুর্ভাব ঘটেছে এবং তা দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। চীনা হসপিটাল গুলির বর্তমান পরিস্থিতি COVID-19 মহামারীর প্রথম দিনগুলিতে ঘটনা গুলির সেই বীভৎস দৃশ্যের স্মৃতি আবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।

এই শ্বাসকষ্ট জনিত অসুস্থতায় চীনে প্রতিদিন ৭০০০ শিশু হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) চীনের নাগরিকদের মাস্ক পড়া, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা ও অসুস্থ বোধ করলে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে যে, দেশে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা বৃদ্ধির কারণ হিসাবে “কোন অস্বাভাবিক বা অভিনব প্যাথোজেন” সনাক্ত করা যায়নি।

বিশেষজ্ঞরা কি মনে করেন?

বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে শীতের আগমন, কোভিড বিধিনিষেধের অবসান এবং শিশুদের মধ্যে পূর্ব প্রতিরোধ ক্ষমতার অভাব এই সংক্রমণের জন্য দায়ী হতে পারে। আশঙ্কা করা হচ্ছে চীনে যে দীর্ঘ সময় জুড়ে কোভিড লকডাউন লাগানো হয়েছিল তার কারণে, চীনের বাসিন্দা দের মধ্যে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠেনি।

চীন ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের একজন বিশেষজ্ঞকে উদ্ধৃত করে বলেছে যে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রামক সংক্রান্ত রোগের প্রধান রোগজীবাণুগুলি আক্রান্ত বিভিন্ন বয়সের অনুসারে পৃথক হয়।

  • ০-৪ বছর: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, রাইনোভাইরাস
  • ৫-১৪ বছর: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া, অ্যাডেনোভাইরাস
  • ১৫-৫৯ বছর: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, রাইনোভাইরাস, করোনাভাইরাস
  • ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস, করোনাভাইরাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *