আজ পাকিস্তানকে হেলায় হারালো ভারত। টসে জিতে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা আগে ব্যাট করার জন্য পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানায়। ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ১৯১ রানে অল আউট হয়ে যায়। ভারত মাত্র ৩০.৩ ওভারে ৩ উইকেটে প্রয়োজনীয় ১৯২ রান তুলে নেয়। এটি ভারতের এই ওয়ার্ল্ডকাপে তৃতীয় জয়।
বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে এখনো পর্যন্ত ৮টি ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে ভারতই ৮ টি ম্যাচ জিতেছে। ফলাফল ভারতের পক্ষে ৮-০।
ভারতের ওয়ার্ল্ডকাপে আটটি জয়ের বিবরণ নিচে দেওয়া হল-
১) ১৯৯২ ওয়ার্ল্ড কাপ – সিডনি ( স্কোরবোর্ড )
ভারত প্রথম ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভারের খেলায় ৭ উইকেটে ২১৬ রান করে। অজয় জাদেজা ৪৬ রান, মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন ৩২ রান, শচীন টেন্ডুলকার ৫৪ রান ও কপিল দেব ৩৫ রান করে।
পাকিস্তানের হয়ে মুস্তাক আহাম্মাদ তিনটি ও আকিব জাভেদ ২টি উইকেট নেয়।
পাকিস্তান ব্যাট করতে নেমে ৪৮. ১ ওভারে ১৭৩ রানে সবাই আউট হয়ে যায়। আমির সোহেল ৬২ রান, জাভেদ মিয়ান্দাদ ৪০ রান করে।
ভারতের হয়ে কপিল দেব ২টি, মনোজ প্রভাকর ২ টি, জাভাগাল শ্রীনাথ ২টি, সচিন তেন্ডুলকার ১ টি উইকেট পায়। ভারত এই ম্যাচটি ৪৩ রানে জয়ী হয়।
এই ম্যাচের ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয় সচিন তেন্ডুলকার।
২) ১৯৯৬ ওয়ার্ল্ড কাপ – বেঙ্গালুরু ( স্কোরবোর্ড )
ভারত প্রথম ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৫০ ওভারে ২৮৭ রান করে।নবজাৎ সিং সিধু ৯৩ রান, সচিন তেন্দুলকার ৩১ রান, অজয় জাদেজা ৪৫ রান করে।
পাকিস্তানের হয়ে ওয়াকার ইউনুস ২টি, মোস্তাক আহমেদ ২টি উইকেট নেয়।
পাকিস্তান ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৮ রান করে। আমির সোহেল ৫৫ রান, সৈয়দ আনোয়ার ৪৮ রান, সেলিম মালিক ও জাবেদ মেয়াদাদ ৩৮ রান করে।
ভারতের হয়ে ভেঙ্কটেশ প্রসাদ ৩টি, অনিল কুমলে ৩টি উইকেট নেয়। ভারত এই ম্যাচ ৩৯ রানে জয়ী হয়।
ম্যাচের প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ হয় নবজাত সিং সিধু।
৩) ১৯৯৯ ওয়ার্ল্ড কাপ – ম্যানচেস্টার ( স্কোরবোর্ড )
ভারত প্রথম ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২২৭ রান করে। শচীন তেন্ডুলকার ৪৫ রান, রাহুল দ্রাবিড ৬১ রান, মোহাম্মদ আজার উদ্দিন ৫৯ রান করে।
পাকিস্তানের হয়ে ওয়াসিম আকরাম ২টি, আজাহার মামুদ ২ টি উইকেট নেয়।
ব্যাট করতে নেমে ৪৫.৩ ওভারে ১৮০ রানে পাকিস্তানের সবাই আউট হয়ে যায়।
জাভাগাল শ্রীনাথ ৩টি, ভেঙ্কটেশপ্রসাদ ৫টি, অনিল কুমলে ২ টি উইকেট নেয়।ভারত ৪৭ রানের এই ম্যাচটি যেতে।
প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয় ভেঙ্কটেশপ্রসাদ।
৪) ২০০৩ ওয়ার্ল্ড কাপ – সেঞ্চুরিয়ান ( স্কোরবোর্ড )
পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৭৩ রান করে। সৈয়দ আনোয়ার ১০১ রান, ইউনুস খান ৩২ রান করে।
ভারতের হয়ে জাহিদ খান ২ টি, আসিস নেহারা ২ টি উইকেট নেয়।
ব্যাট করতে নেমে ভারত ৪৫.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় ২৭৩ রান তুলে নেয়। শচীন তেন্ডুলকার ৯৮ রান, রাহুল দ্রাবিড় ৪৪ রান, যুবরাজ সিং ৫০ রান করে।
পাকিস্তানের হয়ে ওয়াকার ইউনিস ২ টি উইকেট পায়।
ভারত ৬ উইকেটে ম্যাচটি জিতে নেয়।
প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয় শচীন তেন্ডুলকার।
৫) ২০১১ ওয়ার্ল্ড কাপ – মোহালি ( স্কোরবোর্ড )
ভারত প্রথম ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৬০ রান করে।শচীন তেন্ডুলকার ৮৫ রান, বীরেন্দ্র শেবাগ ৩৮ রান, সুরেশ রায়না ৩৬ রান করে।
পাকিস্তানের হয়ে ওহেব রিয়াজ ৫ টি, সৈয়দ আজমল ২ টি উইকেট নেয়। পাকিস্তান ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৫ ওভারে ২৩১ রানে অলআউট হয়ে যায়।
জাহির খান, আসিস নেহরা, মুনাফ পাটেল, হরভজন সিং, যুবরাজ সিং সবাই ২টি করে উইকেট নেয়। ভারত ওয়ার্ল্ড কাপের এই সেমিফাইনালে ২৯ রানে জয়ী হয়।
শচীন তেন্ডুলকার প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়।
৬) ২০১৫ ওয়ার্ল্ড কাপ – অ্যাডিলেট ( স্কোরবোর্ড )
ভারত প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩০০ রান করে।বিরাট কোহলি ১০৭ রান, শিখর ধবন ৭৩ রান, সুরেশ রায়না ৭৪ রান করে।
পাকিস্তানের হয়ে সহাইল খান ৫ টি, ওহেব রিয়াজ ১ টি উইকেট নেয়।
পাকিস্তান ব্যাট করতে নেমে ৪৭ ওভারে ২২৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। আহমেদ শেহাজাদ ৪৭ রান, হারিশ সহাইল ৩৬ রান, মিসবা উল হক ৭৬ রান করে।
মোহাম্মদ সামি ৪ টি, উমেশ কুমার ২ টি, মোহিত শর্মা ২ টি উইকেট নেয়।
ভারত ৭৬ রানে ম্যাচটি জিতে যায়।
বিরাট কোহলি প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়।
৭) ২০১৯ ওয়ার্ল্ড কাপ – ম্যানচেস্টার ( স্কোরবোর্ড )
ভারত প্রথম ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৩৬ রান করে।রোহিত শর্মা ১৪০রান, কে এল রাহুল ৫৭রান, বিরাট কোহলি ৭৭ রান করে।
পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ আমির ৩ টি, হাসান আলী ও ওহেব রিয়াজ একটি করে উইকেট নেয়।
পাকিস্তান ব্যাট করতে নেমে ডাকওয়ার্ড উইস মেথডে ৪০ ওভারে ৬ উইকেটে ২১২ রান করে। ফাকার জামান ৬২ রান, বাবর আজাম ৪৮ রান, ইমাদ ওয়াসিম ৪৬ রান করে।
ভারতের হয়ে বিজয় শংকর, হার্দিক পান্ডিয়া ও কুলদীপ যাদব ২টি করে উইকেট নেয়।
ভারত ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে ৮৯ রানে জয়ী হয়।
প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ হয় রোহিত শর্মা।
৮) ২০২৩ ওয়ার্ল্ড কাপ – আমেদাবাদ ( স্কোরবোর্ড )
ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ৪২.৫ ওভারে ১৯১ রানে সকলে আউট হয়ে যায়। বাবর আজম ৫০ রান, মোহাম্মদ রেজওয়ান ৪৯ রান, ইমান উল হক ৩৬ রান করে।
ভারতের হয়ে জাসপ্রীত বুমরা, হার্দিক পান্ডিয়া, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ সিরাজ, রবীন্দ্র জাদেজা ২ টি করে উইকেট নেয়।
১৯২ রানের টার্গেট নিয়ে ভারত ব্যাট করতে নামে। রোহিত শর্মা ৮৬ রান, শ্রেয়াস আইয়ার ৫৩* রান, কে এল রাহুল ১৯* রান করে। ৩০.৩ ওভার ৩ উইকেটে ভারত প্রয়োজনীয় ১৯২ রান তুলে নেয়।
পাকিস্তানের হয়ে শাহীনশা আফ্রিদি ২ টি , হাসান আলী ১টি উইকেট নেয়।
ভারত ১৯.৩ ওভার বাকি থাকতে ৭ উইকেটে জয়ী হয়।
প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছে জাসপিত বুমরা।