আজ ভারত-অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ রায়পুরের শহিদ বীর নারায়ণ সিং ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। ভাবলে অবাক লাগে ২০২৩-এ এসেও জেনারেটরে হবে ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ।

তবে এইরকম পরিস্থিতি আজকে প্রথম নয়। এর আগে তিনটি ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ হয়েছে জেনারেটরেই। আসল কারণটি শুনলে অবাক হবেন, বিদ্যুতের বিল জমা না দেওয়ার জন্য ২০১৮ সাল থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এই স্টেডিয়াম।

বকেয়া বিপুল অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল

ঘটনাটি শুরু ২০০৯ সালে। বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা লক্ষ্য করে ৩.১৬ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বাকি। স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ বিল জমা না করায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় কর্তৃপক্ষ। রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার অনুরোধ রেখে স্টেডিয়ামের কিছু কিছু অংশ যেমন ভিআইপি বক্স, প্রেস বক্স এর বিদ্যুৎ সংযোগ দিলেও বাকি অংশের বিদ্যুৎ সংযোগ এখনও দেওয়া হয়নি। তার জন্য রাতের খেলায় ফ্লাডলাইট জ্বালানোর একমাত্র ভরসা জেনারেটর।

২০১৮ সালের রাজ্য অ্যাথলেটিক্স মিট চলাকালীন স্টেডিয়াম অন্ধকার হয়ে যায়। তখনই প্রথমবার জানা যায়, বকেয়া বিল জমা না করায় স্টেডিয়াম বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। বকেয়া পরিশোধের জন্য বিদ্যুৎ সংস্থা PWD এবং ক্রীড়া দপ্তরে একাধিক নোটিশ পাঠিয়েছে, কিন্তু এখনও কোনও অর্থ প্রদান করা হয়নি। বিগত ৫ বছর ধরে সমস্যা এখনো মেটেনি। শুধু চলছে একে অপরের প্রতি দোষারোপ।

শুনেও অবাক লাগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড শুধু এশিয়ার নয় পৃথিবীর সবথেকে ধনী ক্রিকেট বোর্ড। যে দেশে ক্রিকেট হচ্ছে ধর্ম, যেখানে ১৪০ কোটি মানুষ ক্রিকেটের ভক্ত, যেখানে ক্রিকেটাররা আইপিএল খেলে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করে, যেখানে ক্রিকেট বোর্ড খেলার শর্ত বিক্রি করে হাজার হাজার কোটি টাকা ইনকাম করে সেখানে একটি ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম বিগত ছয় বছর ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন।

ব্যাপারটি জানাজানি হতেই অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ প্রশ্ন তুলছেন, মাঠে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, যেখানে ফ্লাডলাইট জ্বালানোর জন্য জেনারেটর ব্যবহার করা হয় সেখানে ভারত অস্ট্রেলিয়া মতো এইরকম হাই প্রোফাইল ম্যাচ করানোর অনুমতি দেওয়া হল কেন?

বিসিসিআই এর তরফ থেকে কেন এই বিষয়টি সত্তর মেটানো হলো না?  এই প্রশ্ন করছেন অনেক ক্রিকেট ভক্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *