কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেছেন যে নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন আগামী সাত দিনের মধ্যে সারা দেশে কার্যকর করা হবে। গতকাল পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণায় একটি জনসভায় তিনি বলেন “রাম মন্দির উদ্বোধন করা হয়েছে (অযোধ্যায়)। আগামী সাত দিনের মধ্যে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন সারা দেশে কার্যকর করা হবে। এটি আমার গ্যারান্টি। শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, ভারতের প্রতিটি রাজ্যে এক সপ্তাহের মধ্যে সিএএ কার্যকর হবে।”
VIDEO | "Ram Mandir has been inaugurated (in Ayodhya), and within the next seven days, the CAA – Citizenship (Amendment) Act – will be implemented across the country. This is my guarantee. Not just in West Bengal, the CAA would be implemented in every state of India within a… pic.twitter.com/f5Ergu5TG3
— Press Trust of India (@PTI_News) January 29, 2024
নয়টি রাজ্যের ৩০ টিরও বেশি জেলার ম্যাজিস্ট্রেট এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে নাগরিকত্ব আইনের অধীনে মুসলিম রাষ্ট্র আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন এবং পার্সিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল রাজ্যের কোনো কর্তৃপক্ষকে এবিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, ২০১৯ কি?
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, ২০১৯ ( CAA ) ভারতের পার্লামেন্ট দ্বারা ১১ই ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে পাস করা হয়েছিল। এটি আফগানিস্তান , বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসা ওখানকার নির্যাতিত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ভারতীয় নাগরিকত্বের ব্যবস্থা।৩১শে ডিসেম্বর ২০১৪ এর আগে ভারতে এসেছেন এমন আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে জন্ম সংখ্যালঘুদের মধ্যে যে হিন্দু , শিখ , বৌদ্ধ , জৈন , পার্সিরা “ধর্মীয় নিপীড়ন বা ধর্মীয় নিপীড়নের ভয়”-এ ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাদের এই CAA আইনে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
কেন মানুষ CAA এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে?
আইনটি পাস হওয়ায় পর ভারতে ব্যাপক প্রতিবাদের সৃষ্টি হয়। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় “রাজনৈতিক অধিকার, সংস্কৃতি এবং জমির অধিকার” নষ্ট হবে এবং বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি সংখ্যায় মানুষ এখানে প্রবেশ করবে এই আশঙ্কায় এবং ধর্মীয় সুড়সুড়িতে বিলের বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভ হয়। ভারতের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় যেমন আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি এবং জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ছাত্ররা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে ।