ভারতের নির্বাচন কমিশন তেলঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচন ২০২৩ এর সময় মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট এবং প্রাসঙ্গিক আচরণ বিধি লঙ্ঘনের জন্য তেলেঙ্গানার ডিরেক্টর জেনারেল অঞ্জনি কুমারকে বরখাস্ত করেছে, সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে।
তেলেঙ্গানার ডিজিপি সঙ্গে সঞ্জয় জৈন (রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার) এবং মহেশ ভাগবতকে (নোডাল -ব্যয়) নিয়ে হায়দরাবাদ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী ও রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অনুমুলা রেভান্থ রেড্ডির বাসভবনে ফুলের তোড়া দিয়ে দেখা করতে গিয়েছিলেন।
https://twitter.com/ANI/status/1731281450199363998
ডিজিপি মোট ১৬ টি রাজনৈতিক দলের ২২৯০ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে একজন প্রার্থীর সাথে দেখা করতে যাওয়াটা অনুগ্রহ চাওয়া বা অসৎ উদ্দেশ্যের স্পষ্ট ইঙ্গিত, সূত্র সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে।
ডিজিপি রাজ্য পুলিশ বাহিনীর প্রধান এবং তাঁর ব্যক্তিগত নিরপেক্ষ আচরণের মাধ্যমে একটি উদাহরণ স্থাপন করে রাজ্য পুলিশের পরিষেবা গুলিকে নেতৃত্ব দেওয়াই প্রধান কাজ।
“ডিজিপি তেলেঙ্গানার ঐ আচরণ কেবল একটি ভুল নজির স্থাপন করেছে তাইনা, যে সব পুলিশ কর্মচারী তখন নির্বাচন পরিচালনার কাজে যুক্ত ছিলেন তাদের কাছে ডিজিপির ঐ আচরণ সেই সময়ে একটি ভুল সংকেত পাঠিয়েছে। যদি অধস্তন পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের সিনিয়রদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাদের গণনা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত দায়িত্ব পরিত্যাগ করে প্রার্থীদের সাথে দেখা করতে শুরু করতো তবে ফলাফল অকল্পনীয় ভাবে বিপর্যয়কর হতো” ইলেকশন কমিশনের সূত্র যোগ করেছে।
ইলেকশন কমিশন অন্য দুই আধিকারিক সঞ্জয় কুমার জৈন এবং মহেশ এম ভাগবতের কাছে, তারাকি পরিস্থিতিতে রেভান্থ রেড্ডির সাথে দেখা করেছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠিয়েছে।
“রাজ্যের সবচেয়ে সিনিয়র ও যোগ্য পুলিশ অফিসারকে অবিলম্বে তেলঙ্গানা পুলিশের পরবর্তী মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হবে,” ইসি সূত্র জানিয়েছে।
পুলিশ মহাপরিচালক (ডিজিপি) অঞ্জনি কুমারকে বরখাস্ত করার কয়েক ঘন্টার মধ্যে , তেলেঙ্গানা রাজ্য সরকার রবি গুপ্তকে রাজ্যের পুলিশ মহাপরিচালক হিসাবে নিয়োগের আদেশ জারি করেছে।
১৯৯০ ব্যাচের আইপিএস অফিসার, মিঃ গুপ্তা ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দুর্নীতি দমন ব্যুরোর (ACB) মহাপরিচালক হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং মহাপরিচালক (ভিজিল্যান্স এবং এনফোর্সমেন্ট) এর অতিরিক্ত দায়িত্বও পালন করেছেন।