লোকসভা ব্রিটিশ আমলের ফৌজদারি আইন পরিবর্তনের জন্য বিল পাস করলো।

ঔপনিবেশিক যুগের আইন পরিবর্তন করে দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে জোরদার কারার উদ্দেশ্যে লোকসভায় আজ ধ্বনি ভোটে তিনটি বিল পাস হয়েছে।

ভারতীয় ন্যায় (দ্বিতীয়) সংহিতা ২০২৩ প্রতিস্থাপন করবে ১৮৬০ সালের ভারতীয় দণ্ডবিধিকে (আইপিসি), ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা (দ্বিতীয়) সংহিতা ২০২৩ প্রতিস্থাপন করবে ১৯৭৩ সালের ফৌজদারি আইনকে ( CrPC)  (মূলত ১৮৯৮ সালে লগু করা হয়েছিল ) এবং ভারতীয় সাক্ষ্য (দ্বিতীয়) বিল ২০২৩ প্রতিস্থাপন করবে ১৮৭২ সালের ভারতীয় প্রমাণ আইনকে ।

বিল গুলি সংসদে পেস কারার সময় অমিত শাহ বলেন,বিলগুলি ব্রিটিশ রাজের সমস্ত “দাসত্ব” এর প্রতীকগুলিকে শেষ করে দেবে। “এটা ব্রিটিশদের নিয়ম নয়। এটা কংগ্রেসের নিয়ম নয়। এটা বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদীর নিয়ম … সন্ত্রাসকে বাঁচানোর কোনো যুক্তি এখানে কাজ করবে না,”

তিনি আরও বলেন “প্রথমবারের মতো, মোদীজির নেতৃত্বে আমাদের সংবিধানের চেতনা অনুসারে আইন তৈরি করা হচ্ছে। ১৫০ বছর পর এই তিনটি আইন পরিবর্তন করতে পেরে আমি গর্বিত।”

শাহ বলেন, সরকার নতুন বিলের বিধান নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করেছে। তিনি বলেছিলেন যে কেন্দ্র ৩২০০ টি পরামর্শ পেয়েছে এবং তিনি নিজেই ১৫৮ টি বৈঠক করেছেন। বিলগুলির বিধানগুলি পড়ার জন্য ১১ই আগস্ট, ২০২৩-এ প্রথম পেশ করা হয়েছিল৷ এরপর বিলগুলিকে একটি স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানো হয় যারা ১০ই নভেম্বর তাদের রিপোর্ট জমা দেয়।

সিআরপিসি-তে ৪৮৪ টি ধারা রয়েছে, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা (দ্বিতীয়) সংহিতা, ২০২৩-এ ৫৩১টি ধারা থাকবে। এর মধ্যে ১৭৭ টি ধারা পরিবর্তন করা হয়েছে, ৯ টি নতুন ধারা এবং ৩৯ টি উপ-ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, ৪৪টি নতুন ব্যাখ্যা যুক্ত করা হয়েছে, টাইমলাইনে ৩৫টি ধারা যুক্ত করা হয়েছে এবং ১৪টি ধারা বাতিল করা হয়েছে।

আইপিসির ৫১১ টি ধারা থাকলেও ভারতীয় ন্যায় (দ্বিতীয়) সংহিতার ৩৫৮ টি ধারা থাকবে। নতুন আইনের পরিধিতে ৩১ টি নতুন অপরাধ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ৪১ টি অপরাধের জন্য কারাদণ্ডের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, ৮২টি অপরাধের শাস্তি বাড়ানো হয়েছে, ২৫টি অপরাধে বাধ্যতামূলক ন্যূনতম শাস্তির কথা বলা হয়েছে, ৬ টি অপরাধের জন্য শাস্তি হিসেবে কমিউনিটি সার্ভিস যুক্ত করা হয়েছে এবং ১৯ টি ধারা বাতিল করা হয়েছে।

ভারতীয় সাক্ষ্য (দ্বিতীয়) বিল, ২০২৩ -এ ভারতীয় সাক্ষ্য আইনের ১৬৭ টি ধারার তুলনায় ১৭০ টি ধারা রয়েছে — ২৪ টি ধারা পরিবর্তন করা হয়েছে, দুটি নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে এবং ছয়টি ধারা বাতিল করা হয়েছে।

মব লিঞ্চিংকে ঘৃণামূলক অপরাধ বলে অভিহিত করে শাহ বলেন, এই ধরনের অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান করা হয়েছে। আজ মোট ৩৫ জন সদস্য তিনটি বিলের ওপর বিতর্কে অংশ নেন।

Exit mobile version