তিন মাসের মধ্যেই প্রায় ২৭০ টির মতো নতুন সরকারি বাস রাস্তায় নামতে চলেছে। স্নেহাশিস চক্রবর্তী,রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী কলকাতা-শিলিগুড়ি রুটের বাস উদ্বোধনের এসে একথা জানান । তিনি বলেন,”শীঘ্রই তিনটি নিগমের জন্য প্রায় পৌনে তিনশো বাস নামানো হবে। সেগুলোর বেশিরভাগই সিএনজি চালিত হবে। ইতিমধ্যেই টেন্ডার করা হয়ে গিয়েছে। পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই দূষণ কমাতে বৈদ্যুতিক এবং সিএনজি চালিত বাস নামানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।”
সরকারী বাসের কঙ্কালসার চেহারায় নতুন বাস গুলি চামড়ার নীচে কিছুটা মেদ -এর কাজ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
” যে সমস্ত বাসগুলো সামান্য মেরামত করলে রাস্তায় নামানো যায়, সেগুলোকেও নামানোর প্রক্রিয়া চলছে।’’ পরিবহণ মন্ত্রী যোগ করেন।
পরিবহণ মন্ত্রী জানান, এসি ডিলাক্স এই বাস পরিষেবা ১ ডিসেম্বর থেকে পাওয়া যাবে। ভাড়াও দ্রুত নির্ধারিত হয়ে যাবে। গোটা বছরই পর্যটকদের চাপে উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনের টিকিট পাওয়া দায় হয়ে দাঁড়ায়। এই পরিস্থিতিতে সরকারের তরফে এই বাস চালু করলে তা জনপ্রিয় হবে। সাধারণ মানুষেরও সুবিধা হবে। এরপর আসানসোল থেকেও শিলিগুড়িগামী বাস চালু হবে।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশের পর্যটকদের আপাতত রুম দেওয়া হবে না। জানিয়ে দিল দার্জিলিঙের একটি হোটেল।
পরিবহণ দপ্তরসূত্রে খবর, এই ২৭০টি বাসের মধ্যে কেন্দ্রের ন্যাশানাল গ্রিন এয়ার প্রোগ্রামের টাকায় ১৭০-১৮০টি বাস কেনা হচ্ছে।এই বাসগুলি সিএনজি চালিত হবে। রাজ্য সরকার ৯০টি বাস কিনছে রাজ্যের টাকায় । এই বাসগুলি ডিজেল চালিত। এই ২৭০ টি বাস পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম, এসবিএসটিসি এবং এনবিএসটিসি এই তিন নিগমের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি এদিন মন্ত্রী বিশেষ করে জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকার কোনওভাবেই বাসের ভাড়া বাড়াচ্ছে না। সরকারি এবং বেসরকারি বাসের ভাড়া একই থাকবে। কেউ বাড়তি ভাড়া চাইলে যাত্রীরা অভিযোগ জানাতে পারে। অভিযোগ জানাতে হবে পরিবহণ দপ্তরে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল, এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল, এমডি ময়ূরী বাসু, পিভিডি-র ডিরেক্টর দিব্যেন্দু দাস-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ ।