ঘুরতে দার্জিলিং যাবেন ভাবছেন। পকেটে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে যান। এবার থেকে দিতে হবে পর্যটন কর।

 দার্জিলিং শুধু পশ্চিমবঙ্গের নয় গোটা ভারতবর্ষের পর্যটন মানচিত্রে একটি উল্লেখযোগ্য স্থান। কম পয়সায় ঘোরার জন্য বাঙালিদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই দার্জিলিং। শীতকালে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে গোটা ভারতবর্ষের লোক দার্জিলিঙে আসে কিছুটা সময় কাটানোর জন্য। তবে এবার থেকে তাদেরকে কিছু অতিরিক্ত পর্যটন কর দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, বাঙালির অন্যতম পছন্দের ট্রাভেল ডেস্টিনেশন দার্জিলিং। টাইগার হিল, ঘুম, সান্দাকফু, হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্ক এবং পিস প্যাগোডা সহ দার্জিলিংয়ে রয়েছে একাধিক জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য।

সম্প্রতি দার্জিলিং পুরসভা একটি নোটিশ জারি করে বলেছে, দার্জিলিং ঘুরতে আসা প্রতিজন পর্যটককে কর দিতে হবে। তবে করের অঙ্ক খুব বেশি হবে না। এখনো যা ঠিক করা হয়েছে সেটা হলো মাথা পিছু ২০ টাকা। পাঁচ বছর বয়সের ওপরে হলেই পর্যটকদের এই কর দিতে হবে। পুরসভার তরফ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা হোটেল মালিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাদের হয়ে কর আদায় (Darjeeling Tax) করবে বিভিন্ন হোটেল কর্তৃপক্ষ।হোটেল মালিকদের দাবি পুরসভা তাদের সঙ্গে কথা না বলেই এরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ন্যূনতম কর পর্যটন শিল্পের ক্ষেত্রে কোন প্রভাব পড়বে না বলে মনে করে হোটেল মালিক ও ট্রাভেলস কোম্পানিগুলির মালিকরা।

আরও পড়ুন :  বাংলাদেশের পর্যটকদের আপাতত রুম দেওয়া হবে না। জানিয়ে দিল দার্জিলিঙের একটি হোটেল।

দার্জিলিং মিউনিসিপ্যালটির চেয়ারম্যান দীপেন ঠাকুরি জানান “জঞ্জাল সাফাইয়ের জন্য পর্যটকদের থেকে সেই কর নেওয়া হবে। যে কর অতীতেও নেওয়া হত। ৩০ বছর ধরে সেই নিয়ম চালু ছিল। পরবর্তীতে অবশ্য কর গুনতে হত না পর্যটকদের। এবার ফের সেই কর চালু করা হচ্ছে। কারণ জঞ্জাল পরিষ্কার করতে অনেক টাকা খরচ হচ্ছে।”

ভুটান সরকার পর্যটকদের কাছ থেকে সাসটেনেবল ডেভলপমেন্ট ফি নামে বাড়তি টাকা আদায় করে মাথাপিছু। যা নিয়ে অনেক রকম অসন্তোষ সৃষ্টি হয় পর্যটন মহলে। এই সিদ্ধান্তের ফলে পর্যটকের সংখ্যাও কমে যায় ভুটানে। ভুটানে সবচেয়ে বেশি ভারতীয় পর্যটক যান প্রতি বছর। এর ফলে পর্যটন ধাক্কা খায়। তারপর কিছুটা কমানো হয় ফি। নানা রকম ছাড়ও দেওয়া হয়। তবে পর্যটনে যে ধাক্কা লেগেছিল, তা পুরোপুরি এখনও কাটেনি। তবে দার্জিলিংয়ে সামান্য এই খরচ বাড়ায় তাতে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছে দার্জিলিং পুরসভা। এই কর শুধুমাত্র দার্জিলিং পুরসভা এলাকাতেই ধার্য হবে। পাহাড়ের অন্য কোথাও নয়।

Exit mobile version