এখান থেকেই শুরু হল রীতি। এবার থেকে রাজ্য সঙ্গীত গাওয়ার সময় উঠে দাঁড়াতে হবে সবাইকে।

সোমবার বিধানসভায় একটি মিউজিয়ামের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার ও অন্যান্য বিধায়করা। সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষে উপস্থিত সবাইকে রাজ্য সঙ্গীত ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গাইতে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । গানের সময় সবাইকে উঠেও দাঁড়াতে বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখান থেকেই শুরু হল রীতি। এবার থেকে রাজ্য সঙ্গীত গাওয়ার সময় উঠে দাঁড়াতে হবে সবাইকে।

রাজ্য সঙ্গীতের পাশাপাশি এদিনের অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীতও গাওয়া হয়েছে । বাবুল সুপ্রিয় ও ইন্দ্রনীল সেনকে এক সঙ্গে মঞ্চে জাতীয় সংগীত গাইতে অনুুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সাম্প্রতিক কালে দুই গায়ক বিধায়কের দ্বন্দ্ব বিভিন্ন সময় সামনে এসেছে। তবে এ ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ অমান্য করার ধৃষ্টতা তাঁরা দেখাননি। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছেন এবং পরে তাঁরা দুজনে মঞ্চ থেকে নেমে যান।

গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, মনিপুর, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যের নিজস্ব রাজ্য সংগীত থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের কোন রাজ্য সঙ্গীত ছিল না। গত ৭ সেপ্টেম্বর বিধানসভা রাজ্য সঙ্গীত সংক্রান্ত বিল পাশ হয়। ররীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটিকে বেছে নেওয়া হয় রাজ্য সঙ্গীত হিসাবে।

আরও পড়ুন :  ১লা বৈশাখ ‘বাংলা দিবস’,’বাংলার মাটি বাংলার জল’ রাজ্য সঙ্গীত। আজ বিধানসভায় পাস।

গানটি ১৯০৫ সালে রচিত হয়েছিল। এটি বাংলায় “বঙ্গভঙ্গ প্রতিরোধ আন্দোলন”কে সমর্থন করে রবীন্দ্রনাথ লেখেন । বঙ্গভঙ্গের (১৯০৫) প্রতিবাদ করে হিন্দু ও মুসলিম বাঙালিদের পুনর্মিলন করতে ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর “রাখী বন্ধন” শুরু করেছিলেন। সেই দিনটিতে এই গানটি গেয়ে বাঙালিরা বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করেছিল । গানটির স্বরলিপি দিয়েছিলেন ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী।

সূত্রের খবর, এই রাজ্য সঙ্গীতটি যাতে সমস্ত সরকারি অনুষ্ঠানে গাওয়া হয়, সে ব্যাপারের প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক তরফে এ ব্যাপারে দফতরগুলিতে নির্দেশ দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে। এবার থেকে জাতীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি রাজ্য সঙ্গীতটিও প্রতিটি অনুষ্ঠানে গাওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।

=========================

বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল–
পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান ॥
বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ–
পূর্ণ হউক, পূর্ণ হউক, পূর্ণ হউক হে ভগবান ॥
বাঙালির পণ, বাঙালির আশা, বাঙালির কাজ, বাঙালির ভাষা–
সত্য হউক, সত্য হউক, সত্য হউক হে ভগবান ॥
বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন, বাঙালির ঘরে যত ভাই বোন–
এক হউক, এক হউক, এক হউক হে ভগবান ॥

=========================

Exit mobile version