গতকাল নিজের দলেরই নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক পোস্ট করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আরও একবার দলের মধ্যে অসন্তোষ প্রকাশ্যে চলে এল। ‘‌নেতা অযোগ্য গ্রুপবাজ স্বার্থপর’ বলে দলের নেতাকে আক্রমণ কুনালের। কে এই অযোগ্য নেতা? কাকে আক্রমণ করলেন কুনাল? আজ এক্স হ্যান্ডেল থেকে তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজনীতিকের পরিচয়টাই মুছে ফেললেন কুণাল।

কুনালের দলের নেতাকে আক্রমণ নবীন–প্রবীণ বিতর্ককে একবার আরও প্রমাণিত করলো। গতকালের এই বক্তব্যেই থেমে থাকলেন না কুনাল ঘোষ। আজ তিনি তার এক্স হ্যান্ডেল থেকে তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজনীতিকের পরিচয়টাই মুছে ফেললেন কুণাল। তার এই পদক্ষেপ কি নতুন কিছুর ইঙ্গিত বহন করছে?

বৃহস্পতিবার রাতের এক্সে কুণাল লিখেছিলেন, ‘নেতা অযোগ্য গ্রুপবাজ স্বার্থপর। সারা বছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি, অভিষেক, তৃণমূল দলের প্রতি কর্মীদের আবেগের উপর ভর করে জিতে যাবে, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করবে, সেটা বারবার হতে পারে না।’

তৃণমূলের অন্দরে অনেকেরই বক্তব্য, কুণালের ওই পোস্ট উত্তর কলকাতার নেতা এবং তাঁর রাজনীতিকে ঘিরে। তবে কুনাল ঘোষ কোন নাম উচ্চারণ করেননি বলে দলের মধ্যে থাকা কেউই কোন নেতাকেই সনাক্ত করতে চাইছেন না। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা এই পোস্টটি আদতে উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে। তবে এর মধ্যেও দ্বিমতের আশঙ্কা আছে। সুদীপ এবং কুণালের ‘মধুর’ সম্পর্কের কথা তৃণমূলের অন্দরে ও বাহিরে সবারই জানা।

————————–বিজ্ঞাপন————————–

————————————————————–

বৃহস্পতিবার রাতের পোস্ট আপাত দৃষ্টিতে বিস্ফোরক হলেও আজ এক্স হ্যান্ডেল থেকে দলীয় পদ মুছে ফেলা সত্যই অপ্রত্যাশিত। বর্তমান অতীতে সন্দেশখালীর ঘটনা নিয়ে দলের পক্ষে তাকে ঝড়ো ব্যাটিং করতে দেখা গিয়েছে। সামনে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তার টিকিট পাওয়া নিয়েও আলোচনা চলছে সর্বত্র। আগামী ১০ তারিখ তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকা ব্রিগেডে জনগর্জন সভা, এমন সময়ে কুনাল ঘোষের এই অবস্থান দলকে বিপাকে ফেলেছে।

আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরামবাগে জনসভার মাধ্যমে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে তার ভোট প্রচার শুরু করছেন। অনেকেই এটা মনে করছেন যে, এই সময়ে প্রচারের আলো কিছুটা হলেও নিজের দিকে ঘোরানোর চেষ্টায় কুনাল ঘোষের এই পোস্ট ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *