রাজ্যসভা নির্বাচনের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রার্থী তালিকায় বড় চমক।

রাজ্যসভা নির্বাচনের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল কংগ্রেস। সদ্যই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই নাগরিকত্ব আইন(CAA) লাগু হবে গোটা দেশে। তাতে উপকৃত হবে মতুয়া সম্প্রদায়। এ কথা মাথায় রেখে যাতে বিজেপি মতুয়াদের ভোট নিজেদের ঝুলিতে ভরতে না পারে তাই মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রার্থীকে রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে বাংলার শাসকদল।

মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরকে প্রার্থী করেছে এ রাজ্যের শাসক দল। রবিবার চার প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। তাতে পুরানো রাজ্যসভার সাংসদদের মধ্যে একমাত্র নাদিমুল হককে ফের রাজ্যসভার টিকিট দেওয়া হয়েছে। বাকি দুজন প্রার্থীর নাম সাগরিকা ঘোষ ও সুস্মিতা দেব।

যে পাঁচ জনের সময় কাল শেষ হচ্ছে তাঁরা হলেন শান্তনু সেন, আবীররঞ্জন বিশ্বাস, শুভাশিস চক্রবর্তী,অভিষেক মনু সিংভি ও নাদিমুল হক। শান্তনু সেন, আবীররঞ্জন বিশ্বাস, শুভাশিস চক্রবর্তী টিকিটের দৌড়ে বাদ পড়লেন। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা অভিষেক মনু সিংভিকেও ফের এবার টিকিট দেওয়া হল না। তাঁর টিকিট পাওয়ার বিষয়ে বিস্তর জল্পনা চলছিল। গতবার তিনি তৃণমূলের সমর্থনে রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন। কিন্তু এবার তৃণমূল I-N-D-I-A জোট থেকে বেরিয়ে ‘একলা চলো’ নীতি নেওয়ায় আর তাঁকে প্রার্থী করলো না তৃণমূল।

আরও পড়ুন : ভারতের নির্বাচন কমিশন রাজ্যসভার নির্বাচনের দিন ঘোষণা করলো। ২৭ শে ফেব্রুয়ারি ভোট নেওয়া হবে।

তৃণমূলের প্রার্থী তালিকার বড় চমক বিশিষ্ট সাংবাদিক সাগরিকা ঘোষ। সর্বভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমে উচ্চ পদে কাজের পাশাপাশি তিনি বিশিষ্ট সাংবাদিক রাজদীপ সরদেশাইয়ের স্ত্রী।

তৃণমূলের টিকিটে তৃতীয় বার রাজ্যসভায় যাওয়া নাদিমুলও সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত একটি নাম। কলকাতা থেকে প্রকাশিত একটি উর্দু দৈনিক সংবাদপত্রের সম্পাদক তিনি।

সুস্মিতা দেব এর আগে তৃণমূলের হয়ে রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। ২০২১ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন সুস্মিতা। তাঁকে মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে দেওয়া রাজ্যসভা আসনে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। সেই সময় উচ্চকক্ষে দেড় বছর সংসদ ছিলেন তিনি। গত বছর তাঁর আসনের মেয়াদ শেষ হলে সুস্মিতাকে আর রাজ্যসভায় পাঠাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

তৃণমূলের হয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে অসমের শিলচর থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন এই প্রয়াত সন্তোষমোহন দেবের কন্যা।তাই সেসময় তাঁকে রাজ্যসভার প্রার্থী করা হয়নি বলে অনেকেই মনে করেন। কিন্তু মাত্র এক বছরের ব্যবধানেই আবারও তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূলনেত্রী।

 

Exit mobile version